রাজ্যে মহিলাদের খেলাধুলোয় বরাদ্দ মাত্র ১৫ লক্ষ!

অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলাদের খেলাধুলোর ক্ষেত্রে ২০১০-১১ সালে খরচ হয়েছিল ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ২ হাজার টাকা। সর্বশেষ ২০২১-২২এর বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র

রাজ্যের মহিলাদের ক্রীড়ার বিকাশে এবার বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা। যা ১১ বছর আগে ছিল এক কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। এক্সপ্যানশন অফ স্পোর্টস এন্ড গেমস ফর উইমেন-খাতে টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য। রাজ্যের অর্থদফতরের আধিকারিক জানান, ক্রিয়া দফতরের পক্ষ থেকে এই খাতে টাকা চেয়ে কোন ফাইল বিশেষ দেখা যায় না। দফতর থেকে এমন কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, যাতে এই খাতে টাকা বরাদ্দ আরও বাড়ানো যায়।

অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলাদের খেলাধুলোর ক্ষেত্রে ২০১০-১১ সালে খরচ হয়েছিল ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ২ হাজার টাকা। সর্বশেষ ২০২১-২২এর বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা। অথচ সাবালক হয়ে ওঠা মেয়েদের বিয়ের জন্য সরকার থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। বিয়ে অবশ্যই একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। দুস্থ মানুষের পক্ষে বিয়ের টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের এই প্রয়াস যথেষ্ট প্রশংসনীয়। তাতেও নানা জায়গা থেকে বিভিন্ন দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সেই প্রকল্পে তৃণমূল নেতাদের কাটমানির অভিযোগও এসেছে দেদার। এই প্রকল্পে বরাদ্দ কত? ৭৭০ কোটি টাকা।

রাজ্য খেলাধুলোয় মুখ্যমন্ত্রী অনেক কিছুই করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন প্রতিটি মহকুমায় স্টেডিয়াম করা হবে। রাজ্যের ৫২টি মহকুমায় এখনো একটিও স্টেডিয়াম হয়নি। ফুটবল, সাঁতার, তীরন্দাজি, ভলিবল, জিমনাস্টিক, অ্যাথলেটিক ইত্যাদিতে শিক্ষা কেন্দ্র অর্থাৎ একাডেমি স্থাপন করা হবে। খড়দায় ফুটবল এবং ঝাড়গ্রামে তীরন্দাজ একাডেমি ছাড়া আর কিছুর কাজ শুরু করা হয়নি।

২০১৫-তে ক্রিয়া ক্ষেত্রে ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথরিটির একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'স্বল্পমেয়াদী', 'মধ্যমেয়াদি' বেশ কয়েকটি লক্ষ্যমাত্রা এনেছিলেন। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই যথাযথ ভাবে কাজ হয়নি বা টাকা বরাদ্দ হয়নি অথবা কোন প্রকল্প কার্যকর করা হয়নি।

তবে যে কারণে টাকা খরচ হয়েছে তা হল বিভিন্ন ক্লাবকে দেওয়া অনুদান। গত কয়েক বছরে অনেক টাকা ক্লাবকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। যদিও সেই টাকা থেকে ক্রিয়া ক্ষেত্রে উন্নতির কোনও কাজে লাগানো হয়নি। সব হয়েছে ভোটের সময় ক্লাবগুলোকে হাতে রাখার জন্য, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in