Bankura: বৃষ্টি কমলেও কমছে না জলযন্ত্রণা! দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে মৃত আরও এক, ২০ দিনে মৃত্যু ৬ জনের

People's Reporter: শনিবার দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় বাগদি। বয়স ২৬। বাড়ি ওন্দা থানার মালপুর গ্রামে। তবে থাকতেন বিষ্ণুপুর থানার ভাটরা গ্রামে।
বন্যা পরিস্থিতি
বন্যা পরিস্থিতিছবি - সংগৃহীত
Published on

বৃষ্টি কমলেও জলযন্ত্রণা কমছে না বাঁকুড়ায় (Bankura)। দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে আরও একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে শনিবার। গত ২০ দিনে দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে বাঁকুড়ায় মৃত্যু হয়েছে ছ'জনের। যার মধ্যে চারজন স্কুলপড়ুয়া। অন্যদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে ভৈরোবাঁকি নদীর উপর জাঁতাডুমুর জলাধার থেকে ছাড়া জল। শনিবার সকাল থেকে জলাধারের জলে ভেসেছে কাঁটাপাল কজওয়ে, যা নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে।

জানা গেছে, শনিবার দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় বাগদি। বয়স ২৬। বাড়ি ওন্দা থানার মালপুর গ্রামে। তবে থাকতেন বিষ্ণুপুর থানার ভাটরা গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে দূরে সেতুর গার্ডওয়ালের একটি জায়গায় রক্ত ও আঁচড়ের দাগ থেকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সঞ্জয় গার্ডওয়াল টপকে কোনও কারণে দ্বারকেশ্বরে নামার চেষ্টা করেছিলেন। জল বেশি থাকায় টাল সামলাতে না পেরে পড়ে তলিয়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

বৃহস্পতিবারের পর থেকে ভারী বৃষ্টি হয়নি বাঁকুড়ায়। ফলে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছিল বন্যা পরিস্থিতির। কমেছে সবকটি নদীর জলস্তর। কিন্তু শনিবারও ডুবে রয়েছে মীনাপুর, কেঞ্জাকুড়া ও ভাদুল কজওয়ে। সমস্যা হচ্ছে যাতায়াতের। দ্বারকেশ্বর নদের দুই পারের বাসিন্দারা এখনও দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন। অন্যদিকে, শুক্রবার জাঁতাডুমুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে চিন্তা বাড়ছে। এর ফলে বাঁকুড়ার ফুলকুসমা থেকে ঝাড়গ্রামের বিনপুর যাতায়াতে অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। কাঁটাপাল সেতু জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সেখান দিয়ে যান চলাচল তো দূরের কথা, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় হেঁটেও পারাপার করছেন না স্থানীয়রা।

সেচ দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রানিবাঁধ ব্লকে ভৈরোবাঁকি নদীর উপর থাকা জাঁতাডুমুর জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা ৩৮৬ ফুট। শুক্রবার সন্ধ্যায় জলস্তর ৩৮১ ফুট উচ্চতা অতিক্রম করায় আগাম সতর্কতা হিসেবে জল ছাড়া শুরু করে।১৫০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করে।

বন্যা পরিস্থিতি
মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না - বাঙালি পর্যটকদের কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে মমতার উল্টো সুর শুভেন্দুর!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in