

ফের ভুয়ো সিআইডি অফিসারের খোঁজ মিলল। রাজ্যজুড়ে গত কয়েক মাস ধরেই যেন সরকারের ভুয়ো শীর্ষ আধিকারিক সেজে প্রতারণার ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এবার যিনি প্রতারিত হয়েছেন, তিনি ডায়মন্ড হারবারের মগরাজপুরের বাসিন্দা মদন ভুঁইয়া। অভিযুক্ত যুবক সঞ্জয় সর্দার সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা। সিআইডি পরিচয় দিয়ে মদন ভুঁইয়ার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ডায়মন্ড হারবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত। ধৃতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মদন ভুঁইয়া কাকদ্বীপ হাসপাতালের মর্গের অস্থায়ী কর্মী। ১০০ টাকা রোজে কাজ করেন তিনি। কয়েকদিন আগে সঞ্জয় সর্দারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সে নিজেকে সিআইডি অফিসার বলে পরিচয় দেয়। মদনবাবুর কাছে জেনে তাঁকে মর্গের স্থায়ী কর্মী হওয়ার টোপ দেয় সে। তাঁর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবিও করে সঞ্জয়। আর সেই ফাঁদে পা দেন মদনবাবু। সঞ্জয়ের হাতে ১ লক্ষ টাকা তুলেও দেন। তারপর থেকেই অন্য ঘটনাগুলির মতোই ঘটতে থাকে। যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সঞ্জয়। দুর্ব্যবহার করতে শুরু করে। চাকরির কথা বললে তাঁকে গ্রেফতার করার হুমকি এবং টাকা ফেরত চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় সঞ্জয়। এমনটাই অভিযোগ মদনবাবুর।
সম্প্রতি মদনবাবু সঞ্জয়ের পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই তিনি জানতে পারেন, সঞ্জয়ের এই ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও সে সিআইডি সেজে একাধিকবার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে ডায়মন্ড হারবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। তার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন