

২০১১ সালের আগে কিছুই ছিল না। রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে তৃণমূল সরকার যাবতীয় উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে। এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেদিন পড়ুয়াদের উন্নতির জন্য তৃণমূল সরকার কী কি করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি।
বলেন, ‘এর আগে রাজ্যে কিছুই ছিল না। মা-মাটি-মানুষের সরকার এসে সব করেছে। আমাদের সরকার আসার পর শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ গুণ বেশি বরাদ্দ হয়েছে। নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য আরও ২০ লক্ষ সাইকেল বিলি হবে। বিনা পয়সায় স্কুল ব্যাগ, জুতো, বই-খাতা দেওয়া হচ্ছে। সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছি। সেই ঋণ শোধ করা যাবে ৪০ বছর পর্যন্তও।'
তৃণমূল নেত্রী আরও জানান, গতবছরের পাশাপাশি এবারও সুভাষচন্দ্র বসুর তরুণের বইয়ের নামে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব-স্মার্টফোন দেওয়া হবে। আরও ৩০টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হতে চলেছে। সরকারের সব কর্মকাণ্ড থেকে প্রকল্প তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রী বাম সরকারকে নিশানা করে তোপ দাগেন, ‘এর আগে কিছুই হয়নি।’
কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে রাজ্য সরকার। বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ৫ লক্ষ মানুষের চাকরি হবে। ৬৮টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হচ্ছে।' এছাড়াও দেড় হাজারের বেশি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি বাংলায় আসছে। তথ্য প্রযুক্তির সুফলের জন্য ১৮টি আইটি পার্ক তৈরি হচ্ছে। উৎকর্ষ বাংলায় স্কিল দফতরে ৬ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসংস্থানের ফিরিস্তি অনুযায়ী, ৫০০ জনকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের উন্নয়নের কাজে নিয়োগ করা হবে। তাঁদের ফিল্ডে পাঠানো হবে। তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। চাকরি জীবনে তা কাজে লাগানো যাবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন