North Bengal: লকেট, রাহুলের বিরোধিতা - বাংলা ভাগ প্রশ্নে বিজেপির অন্দরে মতের অমিল

রবিবার রাখি বন্ধন উৎসবের দিন বিজেপি নেত্রী তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি এই বঙ্গভঙ্গের সমর্থক নন। এদিন রাজ্যভাগের দাবির বিরোধিতা করেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাও।
রাখিবন্ধনের দিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি
রাখিবন্ধনের দিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিছবি লকেট চ্যাটার্জির ফেসবুকের সৌজন্যে

এবার বাংলা ভাগ বিতর্কে ঢুকে পড়লেন আরও এক বিজেপি সাংসদ। যে ঘটনায় বঙ্গভঙ্গ বিতর্কে বিজেপি নেতৃত্বের মতভেদ আরও স্পষ্ট হয়েছে। গতকাল বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলা ভাগের সমর্থক নন।

রবিবার রাখি বন্ধন উৎসবের দিন বিজেপি নেত্রী তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি এই বঙ্গভঙ্গের সমর্থক নন। এদিন রাজ্যভাগের দাবির বিরোধিতা করেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাও। এই ঘটনায় বিজেপির দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে মতভেদ যে স্পষ্ট, তা ফের প্রকাশ্যে এল।

এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় চুঁচুড়ায় দলীয় কার্যালয়ে বলেন, ‘বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেন। বাংলার সংস্কৃতি, বাঙালির বিচার সম্পূর্ণ অন্য রকম। জন বার্লা বা দিলীপ ঘোষ কী বলেছেন, জানি না! তবে এই বাংলা কখনওই বিভক্ত হবে না।’

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বার্লা সহ আরও অনেকেই। সূত্র অনুসারে উত্তরবঙ্গে আরএসএস-এর পক্ষ থেকেও অনুন্নয়নকে ইস্যু সামনে রেখে বাংলা ভাগ করে কিছু অঞ্চলকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবির সমর্থনে গোপনে প্রচার চলছে।

প্রাথমিক অবস্থায় দিলীপ ঘোষ তার বিরোধিতা করলেও গত শনিবার জলপাইগুড়িতে বার্লার পাশে মেদিনীপুরের সংসদ রাজ্যের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেছিলেন, ‘আজ যদি জঙ্গলমহল বা উত্তরবঙ্গ আলাদা হতে চায়, তার সব দায়-দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে জিইয়ে রেখে মুখ্যমন্ত্রী চুক্তি সই করেছিলেন, তখন কেন প্রশ্ন ওঠেনি? এখন আমরা আওয়াজ তুললেই বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে গেলাম?’ পরে অবশ্য তাঁর সাফাই, ‘দলের সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে। না গোর্খাল্যান্ড, না উত্তরবঙ্গ। শ্যামাপ্রসাদের বাংলাকেই আমরা সোনার বাংলা করব।’

এই ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরের মতভেদকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি শব্দের মানে হয়ে গিয়েছে বিনোদন জনতা পার্টি। ওদের সব বিষয়েই মতান্তর। ওরা বুঝেছে, রাজ্যভাগ চাইলে জনতা বিরোধিতা করবে। তাই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা ওরা ছাড়বে না। তাই ওদেরই একাংশ রাজ্যভাগের দাবি তুলছে।’

সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন কোচবিহারে বলেন, ‘বিজেপি নেতারা উত্তরবঙ্গে থাকলে এক রকম বলছেন, কলকাতায় বসে আবার অন্য রকম! ভোটের স্বার্থেই এই দ্বিচারিতা চালাচ্ছে বিজেপি। আগে তৃণমূলও ভোটের জন্য গ্রেটার কোচবিহার, কামতাপুরীর কথা বলে একই জিনিস করেছে। রাজ্যভাগের চক্রান্ত কোনও ভাবেই বাংলার মানুষ মানবেন না।’

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in