'কোনো ক্ষমতা নেই' - নানুরে দলীয় বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূল

তৃণমূল বিধায়ক বলেন, কন্ট্রাক্টরির কাজ অবজার্ভার ঠিক করে দেন। কোন অঞ্চলে কী কাজ হবে সে বিষয়েও আমার নাক গলানো নিয়ে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাজি
তৃণমূল বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাজিছবি - বিধান মাজির ফেসবুক পেজ
Published on

তিনি বিধায়াক। তায় আবার শাসক দলের। আথচ তাঁরই নাকি কোনও ক্ষমতা নেই। এমনই মন্তব্য করলেন নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাজি। পাশাপাশি জেলায় কোনো সাংগঠনিক দায়িত্ব না পাওয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত সিপিআইএম-র এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে। সিপিআইএমের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। আর যেটুকু রাস্তা হয়েছে তার পাথর কিছুদিন পরেই উঠে যাচ্ছে। রাস্তা সারাইয়ের ঠিকাদারের কাছে থেকে বিধায়ক বিধান মাজি কাটমানি নেন বলে অভিযোগ সিপিআইএমের। তৃণমূলের নীচু স্তরের নেতারাও রাস্তা সারাইয়ের জন্য কাটমানি নেন।

সিপিআইএমের এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ হাস্যকর। কন্ট্রাক্টরির কাজ অবজার্ভার ঠিক করে দেন। আমরা বিধায়করা কিছুই করতে পারিনা। গোটা রাজ্যে যেখানে অবজার্ভার পদ তুলে দেওয়া হয়েছে সেখানে নানুর বিধানসভায় সেই পদ রয়েছে। আমাকে কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। আর কোন অঞ্চলে কী কাজ হবে সে বিষয়েও আমার নাক গলানো নিয়ে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

কিন্তু প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করার কারণ কী? দলের সাথে কি দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূল বিধায়কের? নাকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অন্য কোনো সমীকরণ কাজ করছে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তবে কী কারণে তাঁকে সাংগঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি বা কেন তাঁকে নিজের এলাকাতেই কাজের তদারকি করতে দেওয়া হয় না তা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

উল্লেখ্য, 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে গিয়েও বার বার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিধান মাজিকে। এলাকার উন্নয়ন হয়নি বলেই বিক্ষোভ দেখান নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের একাংশ।

তৃণমূল বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাজি
আসেননি বিচারপতিই! দিল্লি হাইকোর্টে ফের পিছিয়ে গেল শুনানি, আপাতত আসানসোল জেলেই অনুব্রত

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in