অভিযুক্তের নাম রিচার্ড গাসপার। স্ট্রিট লাইট সহ বিভিন্ন সরকারি ঠিকার বরাত পাইয়ে দিতে পারবেন কারণ তিনি একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও তাঁর বিভিন্ন সরকারী মহলে যোগযোগ রয়েছে, এইরকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা জনৈক অর্কপ্রভ মজুমদারের কাছে চোদ্দো লাখ টাকা নেন রিচার্ড গ্যাসপার বলে অভিযোগ।
কাজের বরাত না পেয়ে খোঁজ খবর শুরু করে অর্কপ্রভ মজুমদার বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। রিচার্ড গ্যাসপার যে সরকারি আধিকারিক নন তা যখন অর্কপ্রভ বোঝেন তখন জালিয়াতির ফাঁদে আটকে থাকা ১৪ লাখ টাকা উদ্ধারে সচেষ্ট হন তিনি। টাকা ফেরত চাইতেই হিতে বিপরীত। অভিযোগ, সশস্ত্র দুষ্কৃতী পাঠিয়ে মুখবন্ধ রাখতে তাকে কিছু কাগজে জোর করে সই করতে বাধ্য করে অভিযুক্ত। অতঃপর অর্কপ্রভ মজুমদার নিউব্যারাকপুর থানার দারস্থ হন। কিন্তু থানা তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন অর্কপ্রভ মজুমদারের দুই আইনজীবী অরিজিৎ রায় ও প্রদীপ হরি।
অর্কপ্রভ মজুমদারের অভিযোগ থানা না নেওয়ায় দুই আইনজীবীর মাধ্যমে মাধ্যমে ব্যারাকপুর আদালতে রিচার্ড গ্যাসপার সহ তিনজনের নামে জালিয়াতির মামলা রুজু হয় মঙ্গলবার। অভিযোগকারী প্রতারিতের দুই আইনজীবী জানিয়েছেন, রিচার্ড গ্যাসপার আদতে কোনো পুলিশ আধিকারিক নন। তথাপি অভিযুক্ত নিজেকে প্রভাবশালী দাবী করেছেন। ব্যারাকপুর কমিশানারেটে তাঁর গভীর যোগ রয়েছে ও মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল।
আইনজীবীরা বলেন, এ ঘটনায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নিউ ব্যারাকপুর থানা নিষ্ক্রিয় থেকেছে যা ব্যাখ্যার অতীত। সবমিলিয়ে, ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের কোভিড কেলেঙ্কারির পরে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ভুয়ো সরকারি আধিকারিক রিচার্ড গ্যাসপারের ঘটনা আরেকবার অনেক প্রশ্ন তুলছে। ভুয়ো উচ্চপদস্থ আধিকারিক রিচার্ড গ্যাসপারের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও বাধ্য হয়ে প্রতারিতের আদালতের শরণাপন্ন হওয়াকে ঘিরেই মূল প্রশ্ন। অর্কপ্রভ মজুমদারের অভিযোগ ও তাঁর আইনজীবীদের দাবী আবার সামনে আনল যে প্রশ্ন - তবে কি কৌটোর মধ্যেই ভূত?
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।