

মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ভুল। হাওয়ালা-কাণ্ডের চার্জশিটে নিজের নাম নেই বলে দাবি করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে কারওর নাম না করেই প্রশ্ন করেছিলেন, ‘জৈন-হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে কে জড়িত ছিল? কার নাম চার্জশিটে ছিল, সেটা আগে প্রকাশ করুন।‘
উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, ‘এখনও জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। হাওয়ালা চার্জশিটে আমার নাম ছিল না। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী যা মন্তব্য করেছেন, তার কোনও সত্যতা নেই। উত্তেজনা তৈরি করতেই এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।’
তাহলে কাদের নাম ছিল তাহলে ওই চার্জশিট? ধনকর বলেন, ‘প্রবীণ নেতা যশবন্ত সিনহা এবং অজিত পাঁজার মতো নেতাদের নাম ছিল হাওয়ালা চার্জশিটে। পরে তাঁরা অভিযোগমুক্ত হয়েছেন।‘ মমতার অভিযোগকে খণ্ডন করে রাজ্যপাল লেখেন, ‘মমতার মতো এমন উঁচু দরের নেত্রীর থেকে এই ধরনের ভুল ও অসত্য তথ্য প্রত্যাশিত নয়। এই ধরনের দাবির পিছনে কী মানসিকতা, সেটা ভেবেই আমি বিস্মিত!'
নবান্নে এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে কটাক্ষ করেছিলেন। মমতার অভিযোগ, দার্জিলিংকে অশান্ত করতেই তিনি উত্তরবঙ্গ যান। অপরদিকে, রাজ্যপালও কলকাতা ফেরার আগে জিটিএ দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। রাজভবনের সাংবাদিক বৈঠকে ধনকড়ের দাবি, ‘করোনা অতিমারি নিয়ে ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।' তাঁর প্রশ্ন, সেই দুর্নীতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চুপ?
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন