

জ্বালানি তেলের দাম সেঞ্চুরি করে গিয়েছে। রান্নার গ্যাসের দাম ৯০০ পেরিয়ে চার অঙ্ক ছুঁইছুঁই। সর্ষের তেলই বা পিছিয়ে থাকে কেন? সেও নিজের দাম ডবল সেঞ্চুরির ঘরে নিয়ে গিয়েছে। অনেকটা সেই ক্রিকেটারের মতোই নিজের ঝাঁজ (দাম) বাড়িয়েছে সর্ষের তেল, যাঁদের সাধারণত মারকাটারি পারফরম্যান্সের জন্য ধরা হয় না। এতদিন খাঁটি সর্ষের তেল ঝাঁজে চোখে জল এনেছে। এবার দামেও জল আনার পালা।
কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত দু’এক মাস ধরেই ভোজ্য তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। শুক্রবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্ষের তেলের গড় দাম ছিল প্রতি কিলোগ্রামে ১৭৭ টাকা। অথচ এক বছর আগেও এই দিনে (২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর) সর্ষের তেলের গড় দাম ছিল ১২৬ টাকা।
বাইরে বেরোলে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে যানবাহনের খরচ বৃদ্ধি, আরেকদিকে রান্নাঘরে গ্যাস ও সর্ষের তেলের দাম ছ্যাঁকা দিচ্ছে আমজনতাকে। পুজোর মরসুমে ভোজ্য তেলের দর আরও বাড়ার আশঙ্কা।
আন্তর্জাতিক বাজারেও সর্ষের তেলের দাম কমার সম্ভাবনা। কেন্দ্র কেন পদক্ষেপ করছে না? মুখে কুলুপ সরকারি কর্তাদের। বিরোধীরা দুষছে মোদি সরকারের নীতিকে। কেন্দ্র অত্যাবশকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজের মতো ভোজ্য তেলকেও অত্যাবশকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। পাঁচ বছরের গড় দামের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি দাম বাড়লে তবেই সরকার হস্তক্ষেপ করবে।
শুক্রবার কলকাতায় সর্ষের তেল ১৭৫ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে দাম ১৭০-১৮০ টাকা। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ১৭০-১৯০ টাকা। বর্ধমান, বাঁকুড়ায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। পুরুলিয়ায় ১৭০-১৮৫ টাকা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন