

নারদ কাণ্ডে টাকা নিয়েছেন মুকুল রায়। এই অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ তাদের হাতে নেই। এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। অন্যদিকে, দুই বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও লোকসভার স্পিকারের দফতরে সিবিআইয়ের আর্জি পড়ে আছে। নন্দীগ্রামে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের অনুমোদনই মেলেনি।
সোমবার সাতসকালে সিবিআই নারদ-মামলায় তৃণমূলের তিন মন্ত্রী, বিধায়ক ও প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারের করে। তা নিয়ে দিনভর চলে নাটক। নিজাম প্যালেসের সামনে প্রতিবাদে বিক্ষোভ তৃণমূল সমর্থকরা। প্রশ্ন উঠেছে, একই মামলায় শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কেন চুপ রয়েছে সিবিআই? তাহলে কি তারা শাসকদল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলেই সব দোষ ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে?
সিবিআই সূত্র অবশ্য সাফাই গেয়েছে, তাঁরা নারদ-কাণ্ডে শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও যথেষ্ট প্রমাণ-সহ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করতে চায়। কিন্তু লোকসভার স্পিকারের কাছে ২০১৯-এর ৬ এপ্রিল গ্রেফতারের আর্জি জানিয়ে চার্জশিট পেশ করা হয়। কিন্তু এখনও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন বা ‘প্রসিকিউশন স্যাংশন’-এর জবাব মেলেনি।
তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও একইদিনে চার্জশিট পেশের অনুমোদন চাওয়া হয়। ৬ এপ্রিলের পর ফের ওই বছরেরই ১৯ অগস্ট ও ১৬ সেপ্টেম্বর স্পিকারের দফতরে তাগাদা দেওয়া হয়। গত দু’বছরে আরও দু’তিনবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও লোকসভার স্পিকারের অনুমোদন মেলেনি। স্পিকারের দফতর মন্তব্য করতে চায়নি।
নারদ-কাণ্ডের সময় শুভেন্দু লোকসভার, মুকুল রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ২০১৭ সালে মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আর ২০২০ সালের শেষে শুভেন্দু গেরুয়া শিবিরে যান। দুজনের ক্ষেত্রেই প্রশ্ন ওঠে, সারদা-রোজ ভ্যালি, নারদ কাণ্ডে গ্রেফতারি এড়াতেই তাঁরা দলবদল করেছেন কিনা।
মুকুলের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে স্যামুয়েল জানান, তিনি শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তিনি মুকুলের সঙ্গে দেখা করলে তিনি সরাসরি নগদ নিতে চাননি। তিনি আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে টাকা দিতে বলেন। তিনি মির্জাকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানান স্যামুয়েল। তাঁদের কথাবার্তার রেকর্ডিংও রয়েছে। এসব প্রমাণের পরও শুভেন্দু-মুকুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ না হওয়ার কারণ অবাক করেছে স্যামুয়েলকেও।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন