শনিবার রাজ্যে চতুর্থ দফা ভোটে রক্তাক্ত হয় কোচবিহারের শীতলকুচি। গুলিতে নিহত হন পাঁচজন। সেই ঘটনার জেরে ওইদিন ভোট শেষ হওয়ার পর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়, রাজ্যস্তরের কোনও নেতাই বাইরে থেকে সেখানে যেতে পারবেন না। এমনই নোটিশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই কোচবিহারে যাওয়া আটকে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে কেউ আটকাতে পারবে না। তিনি চতুর্থ দিনই যাবেন। এটা গণহত্যা। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
রবিবার সকালে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেছেন মমতা। যেখানে তিনি বলেন - কোচবিহারে আমার মা-বোনেদের কাছে যেতে ওরা আমাকে তিনদিনের জন্য আটকাতে পারবে। কিন্তু, চতুর্থ দিন আমি সেখানে পৌঁছে যাব। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মডেল কোড অফ কনডাক্টের (আদর্শ আচরণবিধি) নাম পরিবর্তন করে মোদি কোড অফ কনডাক্ট রাখা উচিত৷
শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ওই বুথে ভোট বন্ধ রাখা হয়। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনও রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী কোচবিহার যেতে পারবেন না।
গতকাল কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সব মহলেই। পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া রিপোর্টে জানিয়েছেন, আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালায় বাহিনী। এদিকে, ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, বিশ্বে এমন কোনও কিছু নেই যে আমাকে আমার মা বোনেদের কাছে যেতে এবং তাদের যন্ত্রণা ভাগ করে নেওয়া থেকে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।