জীবনকৃষ্ণের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি লেনদেন! অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করবে সিবিআই!

জীবনকৃষ্ণ সাহার আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে সিবিআই।
বিধায়কের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করছে CBI
বিধায়কের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করছে CBIগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে শুরু করেছে সিবিআই। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

জীবনকৃষ্ণ সাহার আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিবিআই-র নজরে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কার সাথে কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ লেনদেন তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

পাশাপাশি বিধায়কের স্ত্রী টগর সাহার নামেও একাধিক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। ওই অ্যাকাউন্ট গুলির মাধ্যমে ও প্রচুর টাকা লেনদেন হয়েছে।

সিবিআই সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগে চাকরি বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন এই তৃণমূল বিধায়ক। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকাও তুলেছিলেন। সেই ঢাকাতেই তার এত বিপুল সম্পত্তি হলো কিনা তারও তদন্ত চলছে।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও, রাজারহাটে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের। সাঁইথিয়ায় দুটি হিমঘর, একটি চালকল এবং ১ বিঘা জমির হদিশ মিলেছে। তাছাড়া বোলপুরের তাতারপুর, তালতোড়, বাঁধগোড়া মৌজা মিলিয়ে ৬ বিঘারও বেশি জমি রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জমিগুলি কিনেছেন তৃণমূল বিধায়ক। যার আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকার ওপরে।

এখানেই শেষ নয়, নিজের বোনের নামেও বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু বোন দাবি করেন জীবনকৃষ্ণের সাথে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। ওটা তাঁরই বাড়ি। বাবার নামে চালকল থাকলেও চালাতেন তৃণমূল বিধায়কই। জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরের নামেও আন্দি বাজার এলাকায় জমি ও বাড়ি আছে।

বিধায়কের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করছে CBI
নারদ মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ!

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in