
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাস থেকে সরেছে। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে আশাহত চাকরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও নিজের মতামত দিয়েছেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। এবার তাঁকেই সমস্ত মামলা থেকে সরে যেতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারবো না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মুহূর্তে বাংলায় প্রমাণ করে দিয়েছেন যে একটা বিচারকের চেয়ার এবং তাঁর কলমের শক্তি কতটা। তৃণমূলের মতো দুর্বৃত্তদের দল, সন্ত্রাসকারীদের দল ভয়ে বিচারপতির ভয়ে কম্পিত। বাংলার নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ যাঁরা দুর্নীতির শিকার হয়েছেন তাঁদের ভরসা ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
তিনি আরও বলেন, বিচারপতি গাঙ্গুলির জন্য সকলে মনে করেছেন এখনও এই দেশে বিচার পাওয়া যায়। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস যদি পুনরায় জন্মায় তা বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির জন্যই।
উল্লেখ্য, এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিচারাধীন মামলা নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এই নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে হলফানামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার, এক পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘বিচারাধীন মামলায় সাক্ষাৎকার দেওয়া বিচারপতিদের কাজ নয়। যদি বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনও সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সেক্ষেত্রে তিনি ওই মামলার শুনানি করার অধিকার হারিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ওই মামলার শুনানির জন্য নতুন বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন