

তিনদিন আগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মণীশ কোঠারি (Manish Kothari) বলেছিলেন, তাঁর দোষ একটাই যে, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক। শনিবার, সেই মণীশ কোঠারিকে (Manish Kothari) আদালতে পেশ করে ইডি (ED) দাবি করেছে, কেষ্ট মণ্ডলকে ধরেই গত পাঁচ-সাত বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, বোলপুরে এমন কোনও মৌজা নেই যেখানে মণীশের জমি কেনা নেই। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল, এই ৬ বছরে বোলপুরের বুকে আনুমনিক ১৫ কোটি টাকার জমি কিনেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি কেষ্টর হিসাবরক্ষক। রূপপুর মৌজা, গোপালনগর, কঙ্কালীতলা, দারোকানাথপুর, সুরুল-সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই মণীশের জমি রয়েছে বলে খবর। ইডি সূত্রের খবর, ওই সব সম্পত্তির আনুমানিক বাজারমূল্য ১৫ কোটি টাকা।
এছাড়া, বোলপুরের বাইরে রামপুরহাট, লাভপুর, মহম্মদ বাজারেও জমি ও সম্পত্তি রয়েছে মণীশ কোঠারির। একইসঙ্গে, ইডি জানিয়েছে, তারা কলকাতার নিউটাউনে অনুব্রতর হিসাব রক্ষকের একটি বড় অঙ্কের সম্পত্তির কথা জানতে পেরেছেন। তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জোগাড়ের প্রক্রিয়া চলছে।
ইডি সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিষয়ে অনুব্রতের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মণীশ। অনেক তথ্যই জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, শুধুই কি অনুব্রতের হিসাবরক্ষক হয়ে কাজ করে এত টাকা উপার্জন করেছেন তিনি? না কি গরু পাচারের টাকা লেনদেনের পাশাপাশি তার ভাগ মণীশও পেয়েছেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন