

পঞ্চায়েত স্তরে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের লাগাম ছাড়া দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার মালদহ জেলা বামফ্রন্টের ডাকে জেলা পরিষদ ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।
এই কর্মসূচী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মালদহ জেলার ১৫টি ব্লক থেকে কয়েক হাজার মানুষ মিছিলে যোগ দেন। মালদহ শহরের রথবাড়ি থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন পথ ঘুরে পুরনো হাসপাতালের সামনে জমায়েত হয় এবং সেখানেই একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র।
সমাবেশ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "গ্রামে-গ্রামে শাসক দলের দেদার লুটের চেহারা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, মানুষের ক্ষোভ চরমে উঠছে। সেই কারণেই এত মানুষ বিক্ষোভ জানাতে সমবেত হয়েছেন। পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য লাল ঝান্ডার লড়াইয়ের আহ্বান আপনারা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিন। পরিস্থিতিকে আমরা পাল্টাবোই। সারা দুনিয়ায় লাল ঝান্ডা নিয়েই মানুষের অধিকারের দাবিতে লড়াই হচ্ছে।"
এর পাশাপাশি শুধুমাত্র নির্বাচনী লড়াই নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে মানুষকে একত্রিত করে দুর্নীতির অবসান এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা। এ প্রসঙ্গে মালদহের সমাবেশে তিনি বলেন, "উন্নয়নের জন্য বামফ্রন্ট সরকারের গড়ে তোলা ত্রিস্তর পঞ্চায়েতকে লুটের পঞ্চায়েতে পরিণত করেছে তৃণমূল। তাকে আবার জনগণের পঞ্চায়েতে পরিণত করতে হবে।"
মিশ্র আরও জানান, "পঞ্চায়েতের সবস্তরে ব্যাপক দুর্নীতির জন্য গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। লাল ঝান্ডা হাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই গড়ে তুলে গ্রামের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। লড়াইয়ের বার্তা সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল করতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের সেই আস্থার প্রতিফলন দেখা যাবে।"
এদিনই, রথবাড়িতে সিআইটিইউ মালদহ জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন দপ্তরে এক সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "জেলা পরিষদ সহ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে শাসক দলের ব্যাপক দুর্নীতি থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার এবং তাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এটা বিজেপি এবং তৃণমূলের সমঝোতাকেই স্পষ্ট করে। একমাত্র আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হলে, তবেই এই দুর্নীতি সামনে আসতে পারবে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন