

পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে শাসক দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি তত বাড়ছে। ফের একবার বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন '৮ জুলাই খেলা হবে'।
রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধীদের হুমকি দেওয়া নতুন বিষয় নয়। এর আগে বিরোধীদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া, জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার মতো হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, "বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস আমার নামটা মনে রাখবে। আমার নাম মদন মিত্র। একটা কথা বলি, যতই চেঁচাও, আর যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, শেষের সেদিন হবে বড় ভয়ঙ্কর। ৮ জুলাই খেলা হবে।"
তিনি আরও বলেন, সারা বাংলা কেন, সব বাড়িতে সেন্ট্রাল ফোর্স ঢুকলেও জো জিতা ওহি সিকান্দার। তৃণমূল জিতবে। আমাদের চমকে লাভ নেই। আমাদের বেশি চমকালে যেখানে মিটিং করি জায়গার নাম হয়ে যায় চমকাই তলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কী হবে? যা হওয়ার তা তো হবেই। মরলে একবারই মরবো। তবে বীরপুরুষের মতো মরবো।
পাশাপাশি তিনি বলেন, গ্রামে কীভাবে ভোট হয় সকলেই জানে। গলিতে গলিতে তো আর কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকবে না। গলিতে গলিতে থাকবে গ্রামের ভোটাররা। আমরা বুঝে নেবো।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন জমার প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ৪ জন নিহতও হয়েছেন। প্রথমে হাইকোর্ট স্পর্শকাতর ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশনকে।
গতকাল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতির উদয় কুমারের বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, "বুধবার হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও পদক্ষেপ এখনও নজরে পড়েনি। আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে তারা এখনও কোনও স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে পারেনি। কমিশন আরও দু'দিন সময় চেয়েছে। আদালত মনে করছে সময় যত গড়াবে পরিস্থিতি তত খারাপ হবে। তাই কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, রাজ্যের সমস্ত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করবে। আদালতের এই নির্দেশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর করতে হবে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন