

রাজ্যজুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন। লোকাল ট্রেন বন্ধ। বাজার, দোকান-পাট খোলার ক্ষেত্রেও সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু থাকলেও লোক সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। ফলে খরচ সামলাতে ভাড়া বাড়াতে চাইছেন বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন।
গতবছর সম্পূর্ণ লকডাউন, ট্রেন বন্ধের জেরে সরকারি নির্দেশিকা ছাড়াই প্রতি ধাপে এক টাকা করে ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে বাসে। কিন্তু তাতেও লোকসান পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এবার তাই সরকারিভাবে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন তারা। একগুচ্ছ দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
বাস ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনাকালে ঋণে কেনা বাসের ইএমআই শোধ করার ক্ষেত্রে সাময়িক শিথিলতা আদায় করা, ঋণের ওপর সুদ না নেওয়া-সহ একাধিক দাবি জানিয়েছে মিনিবাস সংগঠনগুলি। বাস সংগঠনের দাবি, যাত্রী সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। অথচ সরকার থেকে বেসরকারি বাস চালানোর কথা বলছে। কিন্তু পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে লাভের মুখ দেখা সম্ভব হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে সরকার বাস ভাড়া না বাড়ালে তাদের সমস্যার মুখে পড়তে হবে। সম্পূর্ণ লকডাউন হয়নি। তাই বাস চলাচল না থাকলে সমস্যার মুখে পড়তে হবে একটা বড় অংশের রাজ্যবাসীকে। ইতিমধ্যে সব রুটের বাসের সংখ্যা কমেছে। আগামী দিনে আরও কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে বাস পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সংসার চলবে কীভাবে? এর উপর রয়েছে ব্যাংক ঋণের বোঝা এবং পুলিশের জুলুম।
তাদের দাবি, বিমার মেয়াদ বাড়াতে হবে। পরিস্থিতি আবার ঠিকঠাক না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সড়ক, বিশেষ করে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করতে হবে। অন্তত একবছরের জন্য সব ধরনের কর মকুব করতে হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন