পূর্ব মেদিনীপুরে নিখোঁজ দলীয় কর্মী দীপক পাঁজার বাড়িতে বাম বিধায়ক, ছাত্র যুব নেতৃত্ব

এদিন পাঁশকুড়ার বাহারপোতা গ্রামে নিখোঁজ দীপকের বাড়ি যান সিপিআই(এম) বিধায়ক ইব্রাহিম আলি, ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি, এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান, দলীয় নেতা পরিতোষ পট্টনায়েক।
বাহারপোতা গ্রামে নিখোঁজ দলীয় কর্মীর বাড়িতে বাম নেতৃত্ব
বাহারপোতা গ্রামে নিখোঁজ দলীয় কর্মীর বাড়িতে বাম নেতৃত্বনিজস্ব চিত্র
Published on

নিখোঁজ দলীয় কর্মী দীপক পাঁজার বাড়ি গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করলেন বাম ছাত্র যুব নেতৃত্ব। বুধবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর পাঁশকুড়ার বাহারপোতা গ্রামে নিখোঁজ দীপকের বাড়ি যান সিপিআই(এম) বিধায়ক ইব্রাহিম আলি, ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি, এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান, দলীয় নেতা পরিতোষ পট্টনায়েক সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিন নিখোঁজ দীপক পাঁজার স্ত্রীর হাতে সংগঠনের তরফে কিছু অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

এদিন নিখোঁজের পরিবারকে সান্ত্বনা দেবার পাশাপাশি সাংবাদিকদের মীনাক্ষী জানান – একজন মানুষ এভাবে হারিয়ে গেল। উনি দলকে ভালোবাসেন বলেই নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে গেছিলেন। তাঁর কী আর্থিক অবস্থা, তিনি কী ধরণের মানুষ সেটা গ্রামের সবাই জানেন। আমাদের একটাই বক্তব্য পুলিশকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারকে এই দায় নিতে হবে। দীপক পাঁজাকে খুঁজে এনে দিতে হবে। আমরা বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে খোঁজার কাজ চালাচ্ছি। কিন্তু আমরা আশঙ্কা করছি পুলিশ, সরকার আদৌ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কিনা।

বিধায়ক ইব্রাহিম আলি বলেন – আমাদের স্পষ্ট কথা শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ যেভাবে হঠাৎ মারমুখী হয়ে উঠেছিলো, সেই ঘটনায় অসংখ্য ছাত্র যুব আহত হয়েছে। সেদিন থেকেই দীপক পাঁজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আগে অসংখ্য মিটিং মিছিলে উনি গেছেন। এর আগেও উনি আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই লালবাজার, নিউ মার্কেট থানায় দীপক পাঁজার জন্য ডায়েরি করা হয়েছে। আমরা সংগঠনগত ভাবেও ওনার খোঁজ চালাচ্ছি। কিন্তু প্রশাসনকেও এই ঘটনার দায়িত্ব নিতে হবে।

এসএফআই সভাপতি প্রতিকুর রহমান বলেন – রাজ্যপাল তো সব বিষয়ে মুখ খোলেন। উনি কেন চুপ করে বসে আছেন এই ঘটনায়। এই ঘটনা তো গণতন্ত্রের লজ্জা। আমরা ওনার বিবৃতি দাবি করছি।

নিখোঁজের দীপক পাঁজার কাকা অদ্বৈত পাঁজা বলেন – বামফ্রন্টের যেখানে মিটিং মিছিল হত সেখানেই ও যেত। কলকাতায় অনেকবার গেছে। ফিরে এসেছে। কিন্তু এবার যে গেছিলো আর ফেরেনি। পুলিশের যা অত্যাচার সেই অত্যাচারের ফলে আর বাড়ি ফেরেনি। প্রশাসন কোনো খোঁজ করছে না। মুখ্যমন্ত্রী মাথা ঘামাচ্ছেন না। সবাইকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে উনি চেয়ারে বসে আছেন। এত বড়ো ঘটনা ঘটে গেল। কোনো গুরুত্ব নেই।

উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাড়ার যুবকদের সঙ্গে নবান্ন অভিযানে পা মিলিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাহারপোতা গ্রামের দীপক পাঁজা। ওইদিন ছাত্র যুব অভিযানে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে শুরু করলে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন দীপক। পাড়ার অন্যান্য যুবকরা ফিরে এলেও ওইদিন থেকেই নিখোঁজ দীপক পাঁজা। তাঁর খোঁজে স্থানীয় যুবকরা একাধিকবার কলকাতায় এসে খোঁজ চালালেও এখনও পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে লালবাজারেও।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in