Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে বাম ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টজনেরা, শুনলেন গ্রামবাসীদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

People's Reporter: বামপন্থী বিশিষ্টজন তথা চলচিত্র অভিনেতা বাদশা মৈত্র গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেন, “গ্রামের যেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যে কারণেই হোক। আমরা তাঁদের খুব দ্রুত মুক্তির দাবি করছি।”
বাম ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টজনেরা
বাম ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টজনেরানিজস্ব চিত্র
Published on

মঙ্গলবার সকালে পুলিশের চোখ এড়িয়ে সন্দেশখালি যান সিপিআইএম ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টজনেরা। স্থানীয় প্রশাসনের চোখ এড়াতে এদিন গামছা, চাদর মাথায় মুড়ে গ্রামে ঢুকতে দেখা গেল তাঁদের। সেই দলে ছিলেন বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, সৌরভ পালধী, জয়রাজ ভট্টাচার্যরা।

সন্দেশখালিতে দুটো এলাকা ঘুরলেন বামপন্থী বিশিষ্টজনেরা। সেখানে পৌঁছে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে শুনলেন গ্রামবাসীদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। এরপর বামপন্থী বিশিষ্টজন তথা চলচিত্র অভিনেতা বাদশা মৈত্র গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেন, “গ্রামের যেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যে কারণেই হোক। তাঁরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন। এই সমস্ত গরীব মানুষদের কেস লড়ার টাকা নেই। আমরা তাঁদের খুব দ্রুত মুক্তির দাবি করছি। তাঁরা যাতে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে পারে এবং পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারে।” 

অন্যদিকে, এদিন সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন ভাঙরের আইএসএফ বিধায়কের সন্দশখালি ও বাসন্তী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই সন্দেশখালি থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে সায়েন্সসিটিতে নওশাদকে আটকায় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা যায় বিধায়ককে। পরে পুলিশ তাঁকে ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ করে নিয়ে চলে যায়। 

এদিন ফের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকানো হয়েছে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে। মঙ্গলবার সকালে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা কর্মীকে নিয়ে সন্দেশখালির দিকে রওনা হন। কিন্তু তাঁদেরকে আটকে দেয় ন্যাজাট থানার পুলিশ। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান কংগ্রেস নেতারা। ফেরত পাঠানো হয় তাঁদের।

বাম ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টজনেরা
Naushad Siddiqui: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ৬২ কিমি আগেই গ্রেপ্তার নওশাদ সিদ্দিকী

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in