

কল্যাণী এইমসে (AIIMS) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী দল সিআইডি-র কাছে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কল্যাণী এইমসে (AIIMS) বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।
বৃহস্পতিবার, সুজিত চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, কল্যাণী এইমসে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি পেয়েছেন। বর্তমানে তাঁর মাসিক বেতন ৩০০০০ টাকা। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়েই মৈত্রী চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি মামলাকারী আরও জানান, মৈত্রী দানার বেআইনিভাবে নিয়োগের পিছনে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের কয়েকজন বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠদেরও বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ।
এই ঘটনার জেরে বিজেপি বিধায়ক যথেষ্ট বিপাকে পড়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামী সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
নীলাদ্রিকন্যা মৈত্রীর পাশাপাশি কল্যাণী এইমসে বিজেপির ২ জন সাংসদ এবং ২ জন বিধায়ক সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এফআইআর-এ নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, কল্যাণী এইমসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিং সহ মোট ৮ জনের।
কল্যাণী থানায় এফআইআর দায়ের হওয়ার পর থেকে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র কল্যাণী থানার পক্ষ থেকে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপরেই তদন্ত শুরু করে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়া শহরের কানকাটা এলাকায় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বাড়ি। এর আগে গত ১৫ জুলাই বেলা ১২টা নাগাদ ৭ সদস্যের টিম নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিল সিআইডি। বাবার সামনেই প্রায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন