‘যাঁরা তৈলমর্দন করেন তাঁদেরই কি পছন্দমতো স্কুলে পোস্টিং দেন?’ - প্রশ্ন বিচারপতির

People's Reporter: "হাওড়ায়, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হলে পূর্ব মেদিনীপুরে কেন নয় ?” বিচারপতি মান্থা
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা
বিচারপতি রাজশেখর মান্থাগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

ফের প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পোস্টিং নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। তৃনমূল ঘনিষ্ট শিক্ষকদের বাড়ির কাছে পোস্টিং হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সার্কেলের সাতজন শিক্ষক।

আদালতে আবেদনকারী ওই শিক্ষকদের অভিযোগ ছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল তৈরি হলেও কোনও কাউন্সেলিং হয়নি। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে ছিল সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি।

মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য এবং জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সাংসদ (ডিপিএসসি)কে প্রশ্ন করেন, “যাঁরা তৈলমর্দন করেন তাঁদেরই কি পছন্দমতো স্কুলে পোস্টিং দেন? মামলাকারী তো তা হলে বাড়ির কাছে পোস্টিং চাইতে পারেন। কিন্তু সেটা কি সম্ভব? একটা নির্দিষ্ট বিধি মেনে কাজ করতে হয় তো? সেই বিধি কোথায়? হাওড়ায়, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হলে পূর্ব মেদিনীপুরে কেন নয় ?” যদিও বিচারপতির এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি ডিপিএসসি।

এই বিষয়ে বিচারপতি বারবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সাংসদকে প্রশ্ন করলেও তারা কোনো বিধি দেখাতে পারেনি। সেই বিধি নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, ২০১৬ সালে এই সংক্রান্ত একটি বিধি আছে। কিন্তু তাতে কাউন্সেলিং বা পোস্টিং সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা নেই। ফলে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদগুলির হাতেই পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। যা কখনওই কাম্য নয়।

মঙ্গলবারের শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, যদি কোনো শূন্যপদ থাকে তাহলে আপাতত স্থগিতা রাখা হোক। মামলাটির পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ ডিসেম্বর।

বিচারপতি রাজশেখর মান্থা
৯ ডিসেম্বর ১০০০ দিনে পা চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ, সমর্থন জানিয়ে মিছিলের ডাক CPIM-র

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in