

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খোদ বিচারপতিরা! নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হল ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতের ৩ বিচারককে। হাইকোর্টের নির্দেশেরই পরই ওই আবাসনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করল প্রশাসন।
বিচারপতিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য আবাসনে রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পুলিশ পিকেটিং থাকবে। এছাড়া ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে শোকজ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতিদের আবাসনে বহিরাগত দুষ্কৃতিদের যাতায়াত লক্ষ্য করেন বিচারকরা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ধৃত ব্যক্তি জানান, তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। বুঝতে পারেননি ওটা বিচারপতিদের আবাসন। ভুল করে ঢুকে পড়েছিলেন।
এরপরই দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা জজকে চিঠি দেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতেরই ACJM সহ তিন বিচারক। নিরাপত্তার আশঙ্কায় তাঁরা চিঠি লেখেন।
ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতের ACJM এবং দুই অতিরিক্ত জেলা জজ অভিযোগ করেন, শিশুদের যৌন হেনস্থার POCSO মামলা সংক্রান্ত একটি রায় নিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গোটা বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিচারপতিরা। ডায়মন্ড হারবার থানার এক পুলিশ আধিকারিক নাকি এই ঘটনার সাথে জড়িত। তিনিই দু'জনকে পাঠিয়েছিলেন আবাসনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার জন্য। পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ অনেক দেরিতে আবাসনে আসে বলেও অভিযোগ করেন বিচারপতিরা।
এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে বিচারপতিরাও সুরক্ষিত নন। কোথায় গেছে পশ্চিমবঙ্গ। ডায়মন্ড হারবারকে জঙ্গলের রাজত্ব বলি। বিষয় হল কয়লা ভাইপো ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন নিম্ন আদালতকে তাই বলতে হবে"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন