

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এবার সরব হলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। আগামী মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আনিস খুনের প্রতিবাদে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। শনিবার পার্ক সার্কাসে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তারা। আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। এমনই দাবি জানিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করেন তাঁরা।
২৮ বছরের ওই যুবক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটন ক্যাম্পাসের এমবিএ ছাত্র ছিলেন। শুধু আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পার্ক সার্কাসে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রতিবাদে শামিল হন। ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তাঁকে খুন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে আসা চারজন আনিসকে তাঁরই বাড়ির তিনতলা থেকে ফেলে খুন করেছে, এমন অভিযোগ উঠেছে আমতার সারদা গ্রামেও। ছাত্র আন্দোলনে যথেষ্ট পরিচিত নাম আনিস। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণআন্দোলনে শামিল হয়েছেন তিনি। এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার।
খুনের মামলা রুজু হয়েছে আমতা থানায়। আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলের নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে।
পাশাপাশি এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়াদের একটা অংশ। পড়ুয়াদের দাবি, যেহেতু আনিস খান বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ করতেন, বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হতেন, তাই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পার্ক সার্কাস চত্বরে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় আন্দোলনরত পড়ুয়াদের। এরপর তাঁরা ডন বসকো আইল্যান্ডে বসে পড়েন। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান।
এরপর তাঁরা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেনিয়াপুকুর ক্যাম্পাসে যান। সেখানে পড়ুয়াদের জিবি মিটিং শুরু হয়। আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে। মহাকরণে যেহেতু সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক রয়েছে, তাই তাঁরা মহাকরণ অভিযান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টা নাগাদ মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছেন পড়ুয়ারা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন