অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা নারুলা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা নারুলাফাইল চিত্র

Coal Smuggling Case: ED-র সমনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা সস্ত্রীক অভিষেকের

আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলার একটি ঘটনা তদন্তে বারবার দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

কয়লা পাচার কান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার তলব করা হচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাথে তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকেও তলব করা হচ্ছে। এই তলব এড়াতে ইডির সমনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী।

আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলার একটি ঘটনা তদন্তে বারবার দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁরা তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলেও শুধুমাত্র হেনস্থা করার জন্য তাঁদের দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে। আবেদনে আরো বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট বা দিল্লি হাইকোর্টের কোনো নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে দিল্লিতে তদন্ত প্রক্রিয়া সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। এর আগে আরো দু'বার তাঁকে তলব করেছে ইডি। এর মধ্যে একবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। সেবার ৯ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর স্ত্রীকেও তলব করেছে ইডি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লি যাওয়া অসম্ভব বলে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কান্ডের মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র, অভিষেক ও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হচ্ছে তাঁকে। এছাড়া তাঁর স্ত্রী অ‍্যাকাউন্টে কিছু সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে তলব করা হচ্ছে।

অন্যদিকে অভিষেকের এই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন রাজ‍্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ সকালে প্রাতঃভবনে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এখানে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওদের কর্মীরা এসে ঘেরাও করবে, ঢিল মারবে‌, মুখ্যমন্ত্রী ধর্না দেয়। এর আগেও ডেকেছে সিবিআই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মামলা বোম্বে হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করে তাঁদের গুজরাট থেকে সেখানে ডাকা হয়েছে। আমরাও গিয়েছি। অশান্তি করিনি। আমাদের আইনের উপর আস্থা ছিল। আইনের আশ্রয় নিয়ে আমাদের নেতারা সোনার মত চকচকে হয়ে বেরিয়ে এসেছে। আমার মনে হয় না এইভাবে বাঁচতে পারবেন উনি।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in