

ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, শিবুপ্রসাদ ও শাহজাহানের বাহিনী গ্রামের মহিলাদের দীর্ঘদিন ধরে শ্লীলতাহানি করছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেই মঙ্গলবার সন্দেশখালি থানাতে এলেন ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। এবং তাঁর সঙ্গে আসেন আরও এক ডিআইজি পদমর্যাদার আইপিএস আধিকারিক দেবস্মিতা দাসও।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সন্দেশখালির মহিলারা রাস্তায় নেমে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, শেখ শাহজাহান ও শিবুপ্রসাদ হাজরার বাহিনী এলাকায় সুন্দরী মেয়েদের আলাদা নজরে দেখে। রাতের বেলাতে এসে গ্রামের মেয়েদের বাড়িতে যেতে বলে। আর না গেলে দেওয়া হয় হুমকি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের এই দাপুটে নেতাদের বিরুদ্ধে।
সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে রাজ্যের মহিলা কমিশনও। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর মহিলা কমিশনের চেয়্যারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সন্দেশখালিতে তাঁরা এমন কোনও মহিলাকে পাননি যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। তবে মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাজ করানো হত বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। এরপর সোমবার রাতেই তদন্তের স্বার্থে ১০ জনের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয় প্রশাসনের তরফে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন