
ভ্যাকসিন নেওয়ার আগেই মেসেজ পেয়ে গেলেন গ্রাহকরা! কসবায় করোনার ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক মিটতে না মিটতেই অভিযোগ উঠতে শুরু করল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের পরিকাঠামোগত ত্রুটি নিয়ে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাণীপুরে।
এদিন হাবড়ার বাণীপুরে একটি বেসরকারি কলেজের পক্ষ থেকে ৭৮০ টাকার বিনিময়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছিল। সেখানে অনেকেরই নাম নথিভুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে মোবাইলে মেসেজ আসে। ফলে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি যথাযথ নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন রাখা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে হাবড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান।
হাবড়া পুরসভার এক আধিকারিক জানান, পুর এলাকায় ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের জন্য পুরসভার অনুমতিপত্র উদ্যোক্তারা দেখাতে পারেননি। এমনকি কত তাপমাত্রায় করোনা ভ্যাকসিন রাখতে হয়, তারও জবাব দিতে পারেননি। অবশেষে স্টোর থেকে এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প পর্যন্ত ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন মানা হয়নি বলে স্বীকার করেন দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার।
এদিকে, প্রায় ৩৫০ জনের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের ভ্যাকসিনের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যাঁরা ভ্যাকসিনের জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা টাকা ফেরতের দাবি জানান। বেগতিক বুঝে কলেজের পিছনের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান মেডিক্যাল অফিসার-সহ অন্যরা। পরিস্থিতি সামাল দেন হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্র।
এরপর ক্যাম্পের ভ্যাকসিন পরীক্ষা করে হাবড়া পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক মানস দাস জানান, নিয়ম মেনেই ভ্যাকসিন কোল্ড বাক্সে রাখা হয়েছে। তবে ক্যাম্পের পরিকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। আর প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে মোবাইলে মেসেজ চলে এসেছে। তিনি খতিয়ে দেখে ক্যাম্প চালানোর ছাড়পত্র দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন