
প্রকাশ্যে বিতর্ক করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানালেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস নেতার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যদি তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন তাহলে দলীয় কোনো প্রার্থীর হয়ে আর প্রচার করবেন না তিনি। পাশাপাশি বিজেপির সাথে জোট বেঁধে সরকার গঠনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তে ভোট প্রচার বন্ধ রেখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এরপরেই খবর পাওয়া গেছে তাঁর করোনা সংক্রমণের। কিন্তু তাই বলে তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ করা বন্ধ রাখেননি তিনি। ষষ্ঠদফার নির্বাচনের আগে বুধবার নিজের বহরমপুরের বাড়িতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, "একটা চ্যালেঞ্জ - দিদিভাই (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) একবার আমার সাথে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিতর্ক হোক আপনার। যদি আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, তাহলে আমাদের আর কোনো প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইব না। চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা আছে অগ্নিকন্যা? আমি তৈরি।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন, "দিদি আর তাঁর ভাইপো, দু'জনকেই আমার পরামর্শ আয়নার সামনে দাঁড়ান আর জিজ্ঞাসা করুন - নরেন্দ্র মোদীর কাছে একা একা দিদি গিয়ে ক'দিন আগে কী আলোচনা করে এলেন? ভাইপো আর তাঁর পরিবারের একজনকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই সব চুপচাপ হয়ে গেল কেন? গোধরা কান্ডের পর নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হলেন, তখন দিদি লাল গোলাপের গুলদস্তা পাঠিয়েছিলেন কেন? বিজেপির সঙ্গে সরকার চালানোর যে সুখ দিদি পেয়েছেন, তাতে দ্বিতীয়বার সরকার গড়তে বিজেপিকে সাহায্য করবেন না তো? পার্লামেন্টে সিএএ-র বিরোধিতায় ভোট দেননি ভাইপোরা। হ্যাঁ কি না বলুন?"
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরো বলেন, "হিম্মত থাকলে আগে বলুন, বিজেপিকে সাহায্য করে আপনি ভুল করেছেন। এই ভুল আর হবে না।" প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল-বিজেপি একসাথে লড়েছিল। এমনকি অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন