ভবানীপুরের মতো সারা রাজ্যে প্রশাসন তৎপর হলে এতগুলো মানুষকে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মরতে হত না - সেলিম

সেলিম বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল উল্টো হলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টিকার সাঁটানো গাড়িতে ঘোরাফেরা করা অনেক তৃণমূল নেতাকে সবার আগে বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা যেত।
শ্রীজিব বিশ্বাস, মহঃ সেলিম, দীপ্তিতা ধর
শ্রীজিব বিশ্বাস, মহঃ সেলিম, দীপ্তিতা ধর ছবি - দীপ্তিতা ধর (ফেসবুক পেজ)
Published on

গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন প্রায় গোটা রাজ্য। প্রায় সব এলাকায় বৃষ্টিপাত একটু কমলেও জল নামেনি অনেক জায়গাতেই। বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে। আবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে অনেক মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

কিন্তু গোটা রাজ্য থেকে কিছুটা আলাদা নজরে ভবানীপুরকে দেখছে নবান্ন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সেখানে উপনির্বাচন। তাই ভবানীপুরবাসীকে যাতে কোনও সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, সেদিকে বিশেষ তৎপরতা দেখা গিয়েছে। এনডিআরএফ, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই তৎপরতা বছরভর দেখালে ১৬টি প্রাণকে চলে যেতে হত না। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে বাম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে এমনটাই বললেন মহম্মদ সেলিম।

সেলিম বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকে ভেবেছিলেন বিজেপিকে সমর্থন করলে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব। উল্টোটা অনেকে ভেবেছিলেন। ফলাফল উল্টো হলে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টিকার সাঁটানো গাড়িতে ঘোরাফেরা করা অনেক তৃণমূল নেতাকে সবার আগে বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা যেত। তৃণমূল বিজেপির ভাষায় কোনও ফারাক নেই। দুজনের কেউই লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, বেসরকারিকরণ নিয়ে মুখ খোলে না।

এই বাম নেতার অভিযোগ, কেন্দ্র সিপিএমকে আটকানোর নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগগুলি আইনসভা পৌঁছতে না পারে। তৃণমূলও সেই চেষ্টাই করে চলেছে। দেশ এবং রাজ্যে নতুন করে সম্পত্তি তৈরি হয়নি। স্বাধীনতার পর লাভজনক সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ হচ্ছে না। চাকরির পরীক্ষায় এখন শুধুই দুর্নীতি।

ভবানীপুরের নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন বামনেত্রী দীপ্সিতা ধর। তিনি বলেন, 'একজন মানুষের ক্ষমতায় থাকার জন্য এই কোভিড পরিস্থিতিতে ভবানীপুরবাসীর ওপর অকাল নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হল।'

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in