'আগে এরকম দেখিনি' - পরপর বিস্ফোরণ নিয়ে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ালেন মন্ত্রী শোভনদেব

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এতটা তো আগে হয়নি কখনও। দেখিনি আমরা কোনোদিন। এখন হচ্ছে কেন সেটা ভাবার দরকার আছে। নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত'।
শোভনদেব চ্যাটার্জী
শোভনদেব চ্যাটার্জীফাইল চিত্র
Published on

রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণ এবং বোমা উদ্ধার নিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ালেন দলেরই বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই ঘটনা আগে দেখিনি।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বোমা উদ্ধার স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বোমা বিস্ফোরণও ঘটছে। আর এই নিয়েই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য বেকায়দায় ফেলেছে শাসকদলকে। তিনি বলেন, 'এতটা তো আগে হয়নি কখনও। দেখিনি আমরা কোনোদিন। এখন হচ্ছে কেন সেটা ভাবার দরকার আছে। নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত।'

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর শনিবার বজবজে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান ৩ জন। মঙ্গলবার মালদহের ইংরেজবাজারের নেতাজি পুরবাজার এলাকায় একটি বাজির গুদামে বিস্ফোরণ হয়। সেখানে প্রাণ হারান ২ জন। গত কয়েকদিনের তল্লাশিতে প্রায় দেড় লক্ষ কেজি বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাজির পাশাপাশি সম্প্রতি বীরভূমের দুবরাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধেই। যদিও সেসব অভিযোগ অস্বীকার করছে তৃণমূল।

এই বিস্ফোরণ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, 'তীব্র গরমে বিস্ফোরণ হতেই পারে। আর এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট এবং আর্সেনিক ট্রাই সালফেড বাইরে রেখে দিলে তা এমনিই ফেটে যাবে।'

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারও বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত নারায়ণপুর গ্রামে পুকুরপাড়ের একটি ঝোপ থেকে ৩০টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি ড্রামে করে রাখা ছিল বোমাগুলি। স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে আসে বম্ব স্কোয়াড। এই সবকিছু মিলিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন রাজ্যবাসী।

শোভনদেব চ্যাটার্জী
‘তীব্র গরম’ থেকে ‘বিরিয়ানির মশলা’ - বাজি বিস্ফোরণ নিয়ে একাধিক মত তৃণমূলের! পাল্টা কটাক্ষ সুজনের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in