‘‘দলের সঙ্গে ছিলাম-আছি’’ - দাবি TMC থেকে সাসপেন্ডেড পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

শনিবার জেলের ভিতর হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রাফিক্স সুমিত্রা নন্দন
Published on

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজত হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের সমস্ত পদ থেকেও অপসারণ করা হয়েছে তাঁকে। দলের তরফে দূরত্ব বজায় রাখলেও তিনি যে দলের পাশে রয়েছেন সে কথা অকপটে জানালেন পার্থ।

শনিবার জেলের ভিতর হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমে পার্থ বলেন, ‘‘দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি।’’

১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ হওয়ার পর, গত বৃহস্পতিবার সিবিআই-র বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে। আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে আসার সময় পার্থর গলায় আক্ষেপের সুরে শোনা গিয়েছিল - ‘‘আগে কত লোক থাকত। এখন কেউ নেই!’’

তৃণমূলের সাথে দূরত্ব তৈরী হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করল পার্থর দলের পাশে থাকার বার্তা।

প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবিতে ট্যুইট করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। যদিও পরে সেই ট্যুইট তিনি ডিলিট করেন। এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকের পর পার্থকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করার পাশাপাশি দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়।

মন্ত্রিসভা থেকে আগেই পার্থকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, দল ও সরকারের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।

তবে পার্থর এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাদের একাংশের কটাক্ষ, পার্থকে ‘ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন’ তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর খোদ মমতা ব্যানার্জী এবং তাঁর দল যেভাবে অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছে, সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি দলের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। এ প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, "টাকার ভাগ ঠিক গেলে তো তৃণমূলেই থাকবেন।"

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Indian Railways: যাত্রীদের ব্যক্তিগত তথ্য বেচে ১০০০ কোটি টাকা আয় করতে চাইছে IRCTC!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in