

পুজোর পরেই হতে পারে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন। এর পাশাপাশি নতুনভাবে ওয়ার্ডও গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে হাওড়া পুরনিগমের ভোট। এবার সেই নির্বাচন করতে তৎপর হয়েছে নবান্ন।
রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ভোট হলেও বন্ধ ছিল হাওড়া পুরনিগমের ভোট। সূত্রের খবর, এবার সেই নির্বাচন চালু করতে তৎপর হল নবান্ন। ২০১৮ সালে মেয়াদ শেষ হয় হাওড়া পুরনিগমের। বিভিন্ন আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় স্থগিত করে দেওয়া হয় নির্বাচন। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে বালিকে নতুন পুরসভা করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। সাথে হাওড়ার ৬৬ টি ওয়ার্ডের সংখ্যা কমিয়ে এনে ৫০ টি ওয়ার্ডের পুরনিগম গঠনের বিলও গ্রহণ করা হয়।
রাজভবনে পাঠানো হয় বিলটিতে রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য। কিন্তু তা আটকে রাখেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বালি আলাদা হয়ে গেলে আইনি জটিলটা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। সে ক্ষেত্রে ভোট করাতে কোনোও বাধা থাকবে না রাজ্য সরকারের।
শোনা যাচ্ছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকেরা হাওড়ার জেলাশাসকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জেলাশাসক ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করলেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবে নবান্ন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ১৩ টি পুরসভার নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১৩ টি পুরসভা হল মিরিক নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটি, কালিম্পং, ডোমকল, রায়গঞ্জ, পাঁশকুড়া, পূজালি, ধূপগুড়ি, হলদিয়া, কুপার্স ক্যাম্প, দুর্গাপুর, বুনিয়াদপুর, নলহাটি। এই সবগুলি পুরসভাতেই শীঘ্রই ভোট হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন