
একজন ভুয়ো আধিকারিক কী করে রাজ্য সরকারের পদাধিকারীদের সঙ্গে থাকল? রাজ্য সরকারের নজরে পড়ল না? কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে বুধবার রাজ্যকে এভাবেই ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজ্যকে এই ঘটনার রিপোর্ট হলফনামার আকারে শুক্রবার জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতিরা রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিত ব্যানার্জির ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজেশ বিন্দালের কটাক্ষ, একজন ভুয়ো আইএএস কিভাবে দীর্ঘদিন মন্ত্রী, সরকারি অফিসারদের সঙ্গে ওঠাবসা করলেন? কিভাবে সকলের নজর এড়িয়ে সরকারি অনুষ্ঠানে জায়গা পেতেন? কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছিল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। কিভাবে সেই ঘটনা কলকাতা পুরসভার কমিশনারের নজর এড়িয়ে গেল? তাঁর প্রশ্ন, কিভাবে নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে দেবাঞ্জন ঘুরে বেড়াত? কেন তাকে চেকিংয়ে আটকানো হত না?
কসবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে আবেদন জানিয়েছেন সন্দীপন দাস। তিনি আবেদনে বলেছেন, যাঁরা ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প হয়েছে। ওই ক্যাম্পগুলিতে দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকে গ্রেফতার করে মানুষকে প্রকৃত সত্য জানাতে হবে। ওই ক্যাম্পগুলিতে মানুষকে কিভাবে প্রতারিত করা হয়েছে, কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে রয়েছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, সব্যসাচী চ্যাটার্জী।
হাইকোর্টের তিরস্কারের মুখে পড়ে পুরসভা প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, বিভিন্ন এলাকার কোন কোন আইপিএস, আইএস অফিসার নীলবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেন, তার তালিকা তৈরি করার জন্য কলকাতা পুলিশ সব ক'টি থানায় নির্দেশ পাঠিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন