Hanskhali Rape: উদ্ধার রক্তমাখা চাদর, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল দিল্লির ফরেনসিক দফতরে

এই ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা স্থানীয় তৃণমূল নেতার চাপে কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। পাঁচদিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। প্রথমে যদিও থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল।
হাঁসখালির নির্যাতিতার ঘর
হাঁসখালির নির্যাতিতার ঘরছবি - সংগৃহীত

হাঁসখালিতে এক নাবালিকার গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র ডিএনএ তদন্তের জন্য পাঠানো হল। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সোহেল গয়ালির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা চাদর। পাশাপাশি মিলেছে শ্মশানের অবশিষ্ট পোড়া জামা-কাপড়ও। এবার এই চাদর ও জামা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল দিল্লির ফরেনসিক দফতরে।

এই ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা স্থানীয় তৃণমূল নেতার চাপে কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রায় পাঁচদিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। প্রথমে যদিও থানায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। দেহ সৎকার হওয়ার পর এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফলে এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ, ময়নাতদন্ত বা মেডিক্যাল রিপোর্ট ৷ ঘটনাচক্রেই কাণ্ডে কোনও কিছুই নেই তদন্তকারীদের হাতে।

অন্যদিকে মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার। ফলে তার বয়ানও নেই। এক্ষেত্রে তদন্তের মূল অস্ত্র পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ। এই তথ্যপ্রমাণের খোঁজেই হাতে উঠে এসেছিল অভিযুক্তের বাড়ি থেকে রক্তমাখা চাদর। তদন্তকারীদের বক্তব্য, রক্তের নমুনা থেকে যে ডিএনএ পাওয়া যাবে, তার সঙ্গে মৃত নাবালিকার বাবা ও মায়ের ডিএনএ মিলে গেলে প্রমাণিত হবে যে ওই বাড়িতে নাবালিকার উপস্থিত ছিল।

এছাড়াও চাদরে যে রক্তের নমুনা পাওয়া গিয়েছে, তাতে বীর্য রয়েছে কিনা তা ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব। রক্তের যদি একাধিক ব্যক্তির বীর্যের নমুনা মেলে, তাও আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব। বীর্যের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে, অভিযুক্তদের ডিএনএ-র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। আর সেই ডিএনএ যদি মিলে যায়, গণধর্ষণ প্রমাণ করা সহজ হয়ে যাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

হাঁসখালির নির্যাতিতার ঘর
Hanskhali Rape: এটা কি ধর্ষণ? ছেলেটার সাথে মেয়েটার অ্যাফেয়ার ছিল শুনেছি - মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in