নারদ মামলায় চার্জশিট পেশ করুক সিবিআই। অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, এই মামলায় যে চারজন বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হতে চলেছে, তাঁদের মধ্যে তিনজনই তৃণমূল নেতা ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র। তাঁরা তিনজনই এবারে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ফের বিধায়ক হয়েছেন। চতুর্থ শোভন চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়েছিল, তখন তিনি তৃণমূলেই ছিলেন। কিন্তু পরে বিজেপিতে যোগদান করে। অবশ্য বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে তিনি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন।
তবে নারদ কাণ্ডের চার্জশিটে নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি অবশ্য এখন তৃণমূল নেতা নেই। তিনি বিজেপির টিকিটে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সেসময় তিনি সংসদ ছিলেন। তাই তার ক্ষেত্রে অনুমোদন লোকসভার অধ্যক্ষকে দিতে হবে। যদিও এক্ষেত্রে একটা অন্য প্রশ্ন উঠেছে। বিধায়কদের ক্ষেত্রে মামলা করতে গিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁকে সিবিআই কোনও চিঠি দেয়নি। হাইকোর্টও কয়েকবার জানতে চেয়েছিল যে সিবিআই কোনও চিঠি দিয়েছিল কিনা।
আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, 'যেহেতু এখনও নতুন বিধানসভা গঠন হয়নি, এই অবস্থায় রাজ্যপাল অনুমতি দিতে পারেন।’ কিন্তু ২০১৬ সালের অভিযোগের জন্য গত পাঁচ বছরে কেন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হল না? সিবিআইয়ের এক আইনজীবী বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সিবিআই সূত্রের খবর, শুক্রবার রাজ্যপালের কাছ থেকে চার্জশিট দেওয়ার (প্রসিকিউশন স্যাংশান) অনুমতি পাওয়ায় দুর্নীতি দমন আইনের সাত নম্বর ধারায় ওই নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া যাবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।