নরেন্দ্রপুর কাণ্ডে গ্রেফতার ৪ জন অভিযুক্ত। শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর আগে ওই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমতেয়াজ আহমেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই মামলায় মাধ্যমিক শুরুর আগে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
সূত্রের খবর, ভাইরাল ভিডিওতে নরেন্দ্রপুর স্কুলের শিক্ষককে বেলাগাম ঘুসি চালাতে দেখা গিয়েছিল প্রবীর সর্দারকে। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এফআইআর-এ নাম থাকা আরেক অভিযুক্ত তথা প্রবীর সর্দারের সহযোগী বলে পরিচিত অসীম ঈশ্বরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়াও এদিন গ্রেফতার করা হয়েছে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য অলোক নাড়ু ও পরিচালন সমিতির আর এক সদস্য মনিজুর রহমানকেও। তবে এই ঘটনায় এখনও গ্রেফতার করা হয়নি মূল অভিযুক্ত তথা ওই স্কুলের সাসপেন্ডেড প্রধান শিক্ষক ইমতেয়াজ আহমেদকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার নরেন্দ্রপুরে বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে কয়েক জন দুস্কৃতী এসে শিক্ষকদের বেধড়ক মারতে থাকে। দরজা বন্ধ করে রক্ষা পান স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ওই দুস্কৃতীদের দাবি, স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে।
পালটা আক্রান্ত শিক্ষকদের দাবি, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করায় তাঁদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। দায়ের করা হয় এফআইআর। এই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরপর, বিচারপতি বসু কড়া নির্দেশ দেন, মাধ্যমিক শুরুর আগে অভিযুক্তদের যাতে গ্রেফতার করা হয়। সেই নির্দেশ মতো এদিন সকালে ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।