ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসে বিজেপি সরকার কীভাবে রাজ্যবাসীর ক্ষতি করছে, বঙ্গে এবার সেই নিদর্শন তুলে ধরতে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিজেপি ছাত্র-যুব সমাজকে বিপথে পরিচালনা করছে, মূলত তা বোঝাতেই তাঁর বঙ্গে আসা। আগামী ২ অক্টোবর সিপিআইএম-র যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI) -এর রাজ্য সম্মেলন। ওই সমাবেশে তিনি বক্তব্য রাখবেন। তাঁকেই প্রধান বক্তা হিসাবে আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে উপনির্বাচন। ফলপ্রকাশ ৩ অক্টোবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের প্রচারে বিজেপি এবং তৃণমূল একযোগে বিরোধিতার বিষয়টিকে মানুষ ভালোভাবে মেনে নেননি। মুখ থুবড়ে পড়তে হয় বামেদের। বিজেপির বিরোধিতা ঘাটতি ছিল স্বীকার করেছে খোদ সিপিআইএম নেতৃত্ব। পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী মঞ্চের শামিল বামেরা। তাই মূল শত্রু যে এখন বিজেপি, তা ঠারেঠোরে বোঝাতে চাইছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।
কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জে যুব সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে সুর চড়াবেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। থাকবেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম ও যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তবে ওই সম্মেলনে মানিক সরকার বিজেপি বিরোধিতা করবেন তা স্পষ্ট। সম্প্রতি, বিজেপির আক্রমণে সিপিএমের কয়েকটি পার্টি অফিস আক্রান্ত হয়। আগরতলায় সিপিএমের রাজ্য দফতর ও পার্টির মুখপত্র দেশের কথা পত্রিকা-সহ বেশ কয়েকটি দফতরে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে। সিপিআইএম নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কনভয়ে হামলা হয়। অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ এলাকার সিপিএম কর্মীরা রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল বের করেন। দাবি, পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।