

কোচবিহারে দুটি বিরিয়ানির দোকান বন্ধের জন্য অবাক করা কারণ দর্শালেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা তাঁকে কটাক্ষও করেছেন।
কোচবিহারের বর্তমান পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজের এলাকায় দু’টি বিরিয়ানির দোকান বন্ধ করে দেন। কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় একাধিক অভিযোগ পেয়ে তিনি দোকান পরিদর্শনে যান। বিরিয়ানির দোকান বন্ধ করতে গেলে দোকান মালিকের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বন্ধ করার যুক্তি হিসেবে তিনি বললেন, এই দোকানগুলির কোনো টেন্ডার নেই। বেআইনি তাই বন্ধ করে দিয়েছি।
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘দোকানের কর্মচারীরা কে কোথা থেকে এসেছে জানা নেই। এরা চোর ডাকাত কিনা তাও জানিনা। আমরা থানাতে বিষয়টা জানিয়েছি। এরা বিভিন্ন রকম মশলা দিয়ে বিরিয়ানি করে। যা খেলে পুরুষের পুরুষত্ব কমে যায়’।
এই খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই অনেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে নিন্দা করেছেন। কেউ বলেন, কি অযৌক্তিক যুক্তি! বিরিয়ানি খেলে পুরুষত্ব নষ্ট হয়, এটা অবাস্তব ছাড়া কিছু নয়। এটা কি প্রমাণিত হয়েছে? তাহলে কেন এই বর্বরতা? আইন অমান্য করলে আইনের সাহায্য নিন। অযথা কাউকে হয়রানি করা ঠিক নয়। ট্রেড লাইসেন্স না থাকলে আইনি নোটিশ করুন, তারও একটা প্রক্রিয়া আছে।
আবার কেউ বলেছেন, বিজেপির জন্যই এদের বাড়বাড়ন্ত। বিরিয়ানি খেলে পৌরুষত্ব চলে যাবে এটা RSS-র এজেন্ডা। অনেকে বলছেন, উনি কি কেমিস্ট? মসলার মধ্যে কোন উপাদান টা পুরুষত্ব কমায় সেটা উল্লেখ করুক। না করলে ওনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক। ওনার ধারণা, চেয়ারম্যান বলে মাথা কিনে নিয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন