বিজেপি কর্মীর বাকশক্তিহীন স্ত্রীকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ ৫ জন

বছরখানেক আগে শারীরিক অসুস্থতার জেরে নির্যাতিতা বধূ বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন
ছবি- প্রতীকী
ছবি- প্রতীকী
Published on

বাড়ি ঢুকে বিজেপি কর্মীর বধির স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের ৫ জনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের বাইনান গ্যারেজ এলাকায়। নির্যাতিতা গৃহবধূ বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর স্বামী যে পাঁচজনের নামে উলুবেড়িয়া মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, তারা হল তৃণমূল কংগ্রেসের বাইনান অঞ্চলের সভাপতি কুতুবউদ্দিন মল্লিক, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের আমতা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বাইনান অঞ্চলের সভাপতি দেবাশিস রানা, তৃণমূল কর্মী জয়নাল মল্লিক, রহমত মল্লিক, সাইদ মল্লিক।

পুলিশ ৪৪৭, ৩২৫ এবং ৩৭৬ (ডি) ধারায় মামলা রুজু করেছে। রবিবার রাতেই পুলিশ জয়নাল মল্লিক ও সাইদ মল্লিককে গ্রেফতার করেছে। তাদের সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ছয়দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বিজেপির দাবি, ধৃতেরা সকলেই তৃণমূল নেতা। জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে শারীরিক অসুস্থতার জেরে নির্যাতিতা বধূ বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তাঁদের দুই ছেলে। শনিবার বিজেপি কর্মী স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় ছিলেন। বড় ছেলেও বাইরে ছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। ছোট ছেলেকে নিয়ে ওই মহিলা ছিলেন বাড়িতে।

অভিযোগ, ওইদিন রাত ১টা নাগাদ স্থানীয় ৪/৫ জন দুষ্কৃতী বাড়ি এসে গৃহবধূর নাম ধরে ডাকে। স্বামী এসেছে ভেবে দরজা খুলে দেন তিনি। ঘরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। তাঁর মুখ চেপে ধরে বারান্দায় নিয়ে চলে গণধর্ষণ। এরপর পরনের শাড়ি দিয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে গায়ের উপর বাইক চাপিয়ে দিয়ে পালায় অভিযুক্তরা। রবিবার ভোরে বড় ছেলে বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পারেন। তখন স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে, পরে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতেই নির্যাতিতার স্বামী অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ ও র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দুজন গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে যান আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল, উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসক অভয় দাস। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় জানান, ঘটনা নিন্দনীয়। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুক।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in