

রাজ্য বিজেপি যদি চালচলন না বদলায়, তাহলে বঙ্গ বিজেপির অবলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী। এমনটাই মনে করেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তাঁর সাফ কথা, এখন নিজের মতামত জানানোর কোনও রাস্তা নেই। তাই এবার থেকে তিনি যাবতীয় অভাব-অভিযোগ প্রকাশ্যেই জানাবেন বলে স্থির করেছেন। তিনি অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, বিবেকের ভূমিকা পালন করে যাবেন।
ট্যুইট করে তথাগত লিখেছেন, ‘বিজেপি-র শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, টাকা ও নারী নিয়ে আমার অভিযোগ প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতর করা উচিত। আমি সবিনয়ে জানাই, সে সময় পেরিয়ে গেছে। বিজেপি আমাকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।’
গত সপ্তাহে তথাগত ধারাবাহিক কয়েকটি ট্যুইটে জানিয়েছিলেন, “৩ থেকে ৭৭ (এখন ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা - এঁরা দুজনে নেতৃত্ব দিন। পুরোনো চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে।”
স্বাভাবিকভাবেই তথাগতর সেই ট্যুইটে অস্বস্তিতে বাড়ে দলে অন্দরে। তথাগত অবশ্য এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সামনে এগিয়ে আসার কথা বলেন।
তথাগত গত ৭ নভেম্বর জানিয়েছিলেন, দল ছাড়লে গুপ্তকথা ফাঁস করতেন। কিন্তু আপাতত নিজের ইচ্ছেতেই দল ছাড়ছেন না। আপাতত আজকের ট্যুইটের পর তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
