

রাজ্যে বেকারত্ব বাড়ছে, কর্মসংস্থান নেই, এইসব নিয়ে বিরোধীরা যতই সরব হোক না কেন, তা কার্যত উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে যথেষ্ট সংখ্যক কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি। সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে। এই সেক্টরে বহু যুবক যুবতী চাকরি পেয়েছেন, রোজগেরে হয়েছেন। বুধবার টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী যে পরিসংখ্যান দিলেন, তা থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে এই তথ্যপ্রযুক্তিতে তিনগুণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, রাজ্যের বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তথ্যপ্রযুক্তিতে রাজ্য কর্মসংস্থানে মাইলফলক তৈরি করেছে। সঙ্গে নয়া পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন মমতা। তাঁর দেওয়া তথ্য বলছে, টাটা গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা তথা টাটা কনসাল্টিং সার্ভিসেসে ৫০ হাজার জনের চাকরি হয়েছে। দশ বছর আগে ২০১১ সালে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৫ হাজার। একধাক্কায় কর্মসংস্থান বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে আশাতীত ফলাফল হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। ২০০-র বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, এরকম একটা বার্তা আগেই দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক পদক্ষেপে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বণিকসভা ও শিল্পপতিরা। শুধু তাই নয়, নতুন সরকারের কাছে তাদের আশাও অনেক।
কেউ আশা করছেন, ১০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী পাঁচ বছরে শিল্পের উন্নয়ন আরও দ্রুত হবে। কেউ চাইছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে বড় শিল্পগুলি নিয়েও ভাবুক রাজ্য। আবার কেউ চাইছেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে কীভাবে বাণিজ্যিক প্রসারে ঘটানো যায়, রাজ্য সেই ব্যবস্থা করুক। সব মিলিয়ে কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নে আরও জোর দিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নতুন সরকার।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার তাঁর টার্গেট শিল্প। গোটা দেশের তুলনায় কর্মসংস্থানে এগিয়ে বাংলা, এমনটাই দাবি রাজ্যের। সেই দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই কর্মসংস্থানের এই পরিসংখ্যান মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন