‘জেলা বিজেপি নেতৃত্ব অযোগ্য’ - আবারও বেসুরো বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস

শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকেও ছিলেন না তিনি। এছাড়াও বিধানসভায় তাঁকে একাধিকবার তৃণমূল নেতৃত্বের ঘরে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস
বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ছবি- নিজস্ব
Published on

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপির যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা কেউই যোগ্য নয়। স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। গত কয়েকদিন ধরেই দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকেও ছিলেন না তিনি। এছাড়াও বিধানসভায় তাঁকে একাধিকবার তৃণমূল নেতৃত্বের ঘরে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী এবার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও তৃণমূলেই ফিরছেন?

শুক্রবার সকালে বনগাঁ বাজার এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ঋষভ অধিকারী ও তাঁর মা মিতা অধিকারীর। ঋষভ গত বিধানসভা নির্বাচনে বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গী হিসাবে কাজ করেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরে দলের পক্ষ থেকে কেউ তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যাননি।

এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ বলেন, 'ঋষভের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। সে আমার খুব কাছের ছিল। এই পার্টির কাজ করতে গিয়ে মার খেয়েছে। তখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে আমার সঙ্গে বাগদায় মাটি কামড়ে পড়েছিল। সেই ছেলেটি এবং তাঁর মা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির একটি মানুষকেও দেখা যায়নি তাঁদের শবদেহে একটি মালা দিতে। শ্মশানযাত্রী হতে।' দলীয় কর্মীর প্রতি এরকম মানসিকতা থাকলে আগামী দিনে কেউ এগোবে? প্রশ্ন তাঁর।

পাশাপাশি তাঁর ক্ষোভের নিশানায় বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। অভিযোগ, বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক ঋষভের মৃত্যুর পরে দিঘা ঘুরতে যান। বিশ্বজিৎ বলেন, 'তাঁরা আনন্দ উল্লাস করতে দিঘায় চলে গেলেন। আমি ভেবেছিলাম মন্ত্রীকে নিয়ে ওঁর বাড়ি থেকে একবার ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হবে, কিন্তু তাঁরা আনন্দ উল্লাসে মাতলেন। এখানে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা সত্যিই অযোগ্য। এদের প্রতি আগামীতে মানুষের ভরসা থাকবে না।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in