'তারকারা কেবল সাজসজ্জার কাজে লাগেন' - রূপা, অনিন্দ্যকে চেনেনই না, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

তিনি বলেন, 'তারকারা আর রাজনীতিতে নেই। তাঁদের মারধর খাওয়ার অভ্যাস নেই। তাঁরা কেবল সাজসজ্জার কাজে লাগেন।'
'তারকারা কেবল সাজসজ্জার কাজে লাগেন' - রূপা, অনিন্দ্যকে চেনেনই না, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
ফাইল চিত্র
Published on

রূপা ভট্টাচার্য, অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়-এঁরা কারা? কবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন? তা আদতেই জানেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। কয়েকদিন ধরেই সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের সঙ্গে বিজেপির তারকা সদস্য রূপা ভট্টাচার্য এবং সদ্য বিজেপি-ত্যাগী অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

গত সোমবার যাদবপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৫০০ দিন উদযাপন উপলক্ষে এই দুই বিজেপি মুখকে দেখা যায়। তাতে বিড়ম্বনা বেড়েছে লাল ব্রিগেডেরও। দলের মিছিলে তাঁদের দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দুই তীব্র বাম সমর্থক রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্রীলেখা মিত্র।

রেড ভলান্টিয়ার্সের অনুষ্ঠানে রূপা ভট্টাচার্যের উপস্থিতি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমি নাম শুনিনি। আমার ধারণা নেই তাঁরা কবে যোগ দিয়েছেন। সম্ভবত আমার উপস্থিতিতে যোগ দেননি।' এতেই থেমে থাকেননি খড়গপুরের সাংসদ।

তিনি আরও বলেন, 'তারকারা আর রাজনীতিতে নেই। তাঁদের মারধর খাওয়ার অভ্যাস নেই। তাঁরা কেবল সাজসজ্জার কাজে লাগেন। আমাদের পার্টি বাড়াতে তাঁদের দলে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে যাঁরা দলে আদর্শের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছেন তাঁরা আছেন। কিন্তু যাঁরা সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে এসেছিলেন, তাঁরা কেউ নেই। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন। তাঁদের কাজ আলাদা আর আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মানুষ আলাদা।'

এদিকে বিধায়ক পদ নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে তৃতীয় শুনানিতে অনুপস্থিত থাকলেন মুকুল রায়। নিজের শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তিনি সম্ভবত কারও চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ঠিক হয়নি বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু এটা মানুষ ভালোভাবে নেবে না।'

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in