

দেওয়ানগঞ্জে কয়লাখনির নির্মাণ নিয়ে মিছিল করতে চেয়েছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে বৃহস্পতিবার আটকে দিয়েছিলেন আদিবাসী মহিলারা। ফলস্বরূপ আদিবাসীদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার আদিবাসী অধিকার মঞ্চ থেকে সিপিআইএম প্রতিবাদে সরব হয়।
মহম্মদ বাজারের আদিবাসী অধিকার মঞ্চ ও পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চের উদ্যোগে মিছিলের পাশাপাশি হয় বিক্ষোভ সভাও। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বনাথ কিসকু, ধীরেন বাগদীরা বলেন, কয়লাখনির নামে সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। ডেউচা পাচামি এলাকায় মানুষের আন্দোলনে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব।
দেওয়ানগঞ্জের বেশ কয়েকজন মহিলার অভিযোগ, তাদের উপর হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেভ ডেমোক্রেসি ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা গ্রামে গিয়া আক্রান্ত মহিলাদের সঙ্গে দেখা করবেন, কথা বলবেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আদিবাসীরা দাবি করেন, তারা কোন কয়লা খনি হতে দেবেন না। সিঙ্গুরের মতো জমি অধিগ্রহণ করে দেউচা-পাচামি প্রকল্প হবে না। একথা মুখ্যমন্ত্রীর আগেই জানিয়েছিলেন। তার পরে সেখানে প্রশাসন কাজ শুরু করে। পাচামির আদিবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদিবাসীদের বড় অংশ জমি ছাড়তে চান না।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রচার শুরু হলে এলাকার আদিবাসী মহিলারা তাদের দিকে তেড়ে যান। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মিছিলে ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেন- সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আদিবাসীরা পোস্টার, ফেস্টুন ছিঁড়ে দিয়ে বলেন, ওই এলাকায় কোনও কয়লাখনি করা চলবে না।
ভিটে ও জমি ছাড়তে নারাজ মহিলাদের কথায়, আমরা কিচ্ছু চাই না। কীসের দেউচা পাচামি? কীসের মিছিল? যেমন আছি তেমন থাকব। এখানেই থাকব। অন্যদিকে এই ঘটনার জন্য সুনীল সরেন সেভ ডেমোক্রেসি সংগঠনকে দায়ী করে অভিযোগ তুলেছেন যে, তারাই আদিবাসীদের উসকে দিয়েছে। তিনি বলেন, মানুষ যাতে বহিরাগতদের প্রচারের পা না দেন, তার জন্যই এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন