কাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল, যশের প্রভাব পড়বে না কলকাতায়। কিন্তু প্রবল বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলা থেকে অভিমুখ ঘুরিয়ে ওড়িশায় যশের আছড়ে পড়ার কথা আগেই জানিয়েছিল মৌসম ভবন। সেই মতো ওড়িশার ধামরায় বুধবার সকালে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দপ্তরের সূত্র অনুসারে ঘূর্ণিঝড় যশ আজই ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ হয়ে রাতের দিকে ঝাড়খন্ডের দিকে যাবে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাঁচি, পূর্ব এবং পশ্চিম সিংভূম জেলায়।
যদিও ঘূর্ণিঝড় 'যশ'-এর জেরে গতকাল থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। দীঘা-মন্দারমণি-ফ্রেজারগঞ্জ সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরিস্থিতি ভয়াবহ। দীঘা-মন্দারমণিতে সমুদ্র উত্তাল হয়ে আছড়ে পড়েছে বিরাট ঢেউ। সাম্প্রতিক সময়ে এরকম জলোচ্ছ্বাস দেখেননি স্থানীয় মানুষ। পুরোনো দীঘার মূল রাস্তাতেও সমুদ্রের জল এসে পৌঁছেছে। প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথাও কোথাও জল কোমর ছুঁয়েছে। ভাসছে ফ্রেজারগঞ্জ। জল ঢুকেছে কপিল মুনির আশ্রমেও।
এর আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল, যশ-এর প্রভাবে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দু'টি জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। উদ্বেগের দোসর হয়েছে বুধবার সকালে বুদ্ধপূর্ণিমার ভরা কোটাল ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তাই আগে থেকেই বিভিন্ন জেলাশাসককে নবান্নের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।
ঝড়ের কারণে বুধবার ২ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা ছিল। তা জোয়ারের জলের উচ্চতার উপর নির্ভর করছিল। নামখানা থেকে হিঙ্গলগঞ্জ- একাধিক এলাকায় বাঁধ উপচে বা ভেঙে জোয়ারের জল ঢুকে পড়েছে। মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়ায় চিনাই নদীর বাঁধে বড়সড় ফাটল তৈরি হয়ছে। ওই এলাকা প্লাবিত হয়েছে জোয়ারের জলে। পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরে সমুদ্রের জল প্রায় ৫ কিমি বাঁধ টপকে ঢুকেছে চাষের জমিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন