

রাজ্যে একবছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪ লক্ষেরও বেশি। যা রাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন। কিন্তু হঠাৎ বিশাল পরিমাণ পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার রহস্যটা কী? কারণ খুঁজতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের দ্বারস্থ হলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।
শুক্রবার নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি 'প্রতিচী'তে যান সুজন চক্রবর্তী সহ রাজ্যের অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। বাম নেতৃত্বের দাবি, শিক্ষা বিষয়ক গবেষণায় অমর্ত্য সেনের 'প্রতিচী ট্রাস্ট'-র থেকে ভরসা যোগ্য কিছু হয় না।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, চলতি বছরে মাধ্যমিকে ব্যপক ভাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু এমন হলো কেন? সেই কারণ জানতেই অমর্ত্য সেনের পরামর্শ ও প্রতিচী ট্রাস্টের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কারণ শিক্ষা বিষয়ক নানান কাজ করে থাকে অমর্ত্য সেনের এই সংস্থা।
তিনি আরও বলেন, "প্রতিচী ট্রাস্ট শিক্ষার ব্যাপারে অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে। ওঁনাকে আমরা বললাম, আমরাও খোঁজ নিচ্ছি, তবে আপনার প্রতিচী ট্রাস্ট আরও ভালো পারবে। প্রায় ১১ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবার কমে হয়ে গেল প্রায় ৭ লক্ষ। বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।"
পাশাপাশি তিনি বলেন, "অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্য ও ভূমিকা বাংলার মানুষ ভালো ভাবে নিচ্ছে না। বিশ্বভারতী উপাচার্য অসভ্যের মত কাজ করছেন। বিশ্বভারতীর সম্মান নষ্ট করছেন। একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করা উচিত নয়। আর ওঁনার সাথে দেখা করতে পারাটা আমাদের কাছে প্রাপ্তি।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন