Cow Smuggling Case: অনুব্রত মণ্ডলের CA-কে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে CBI

সুকন্যার বাবা অনুব্রত ও প্রয়াত মা ছবি মণ্ডলের নামে যে তহবিল (Funds) মিলেছে, তার উৎস কী, তা নিয়ে কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অনুব্রত মণ্ডল
অনুব্রত মণ্ডলগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

গরু পাচার মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট (CA) মনীশ কোঠারিকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই (CBI)। আর, তা হলে তৃতীয়বার সিবিআই জেরার মুখোমুখি হবেন কোঠারি।

সিবিআই সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় কোঠারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। সুকন্যার বাবা অনুব্রত ও প্রয়াত মা ছবি মণ্ডলের নামে যে তহবিল (Funds) মিলেছে, তার উৎস কী, তা নিয়ে কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

গত সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সিবিআইকে সুকন্যা জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পত্তি ও জমি কেনাবেচা নিয়ে সকল তথ্যই জানতেন কোঠারি। সূত্রের খবর, তাঁর (সুকন্যার) নামে থাকা সম্পত্তি ও জমির বিষয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

যে প্রশ্নগুলি উঠছে- সম্পত্তি বা জমি কেনার দলিল ভাল করে পড়ে তাতে স্বাক্ষর করেছেন সুকন্যা? নাকি, বাবা অনুব্রত মন্ডলের নির্দেশে তিনি সম্পত্তির দলিল বা নথিতে তিনি স্বাক্ষর করেছেন? তিনি কি কখনও তাঁর নামে সম্পত্তি বা জমি রেজিস্ট্রি করার সময় রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন বা এটি করার জন্য কাউকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়েছিলেন? তিনি (সুকন্যা) কি কখনো তাঁর বাবাকে এই ধরনের সম্পত্তি কেনার অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন?

তথ্য অনুসারে, বীরভূম জেলার বোলপুরের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হলেন সুকন্যা মণ্ডল। আবার, তাঁর নামে- ১) এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ২) নীর ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি প্রাইভেট কোম্পানি রয়েছে। শুধু তাই নয়, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিকানাও রয়েছে সুকন্যার নামে। এই তথ্য জানার পর চমকে উঠেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

এক সিবিআই আধিকারিক জানান, ‘একজন সরকারী কর্মচারী হিসাবে, মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি যে কোনও কোম্পানির সঙ্গে তাঁর (সুকন্যার) যোগসূত্রটি বেশ অস্বাভাবিক।’

এপ্রসঙ্গে, কলকাতা হাইকোর্টের কৌঁসুলি এবং আইনি বিশেষজ্ঞ জ্যোতি প্রকাশ খান বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পরিষেবা বিধি অনুসারে, কোনও সরকারি কর্মচারীকে কখনই কোনও লাভজনক সংস্থার অংশীদার হতে দেওয়া হয় না। তবে, বিশেষ ক্ষেত্র যেমন যদি কেউ বই লেখেন বা অতিথি শিক্ষক/অধ্যাপক হিসাবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণ পান, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীকে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়।’

শুধু তাই নয়, ‘একই সময়ে, বই বা অতিথি বক্তা হিসাবে তিনি যে রয়্যালিটি বা ফি পাবেন, তার একটি অংশ রাজ্য সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে’ বলে জানান আইনি বিশেষজ্ঞ জ্যোতি প্রকাশ খান।

অনুব্রত মণ্ডল
মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাকি! মেলেনি পুলিশি অনুমতি - 'ইনসাফ সভা' ওখানেই হবে - দাবি বাম ছাত্র-যুবদের
অনুব্রত মণ্ডল
CPIM: 'নজরে পঞ্চায়েত' কর্মসূচীতে ব্যাপক সাড়া, গ্রামবাঙলা থেকে মাত্র ৭ দিনেই কয়েকশো দুর্নীতির অভিযোগ
অনুব্রত মণ্ডল
২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে উপাচার্য পদ! তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন অধ্যাপকের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in