ত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা নিয়ে ফেরার, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের

ওই প্রধানের নাম সোনামনি সাহা। আদালত নির্দেশ দিল, অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রধানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার। পুলিশ এখন সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে। ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিধারের।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান সোনামণি সাহা (ইনসেটে)
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান সোনামণি সাহা (ইনসেটে)ফাইল চিত্র - সংগৃহীত
Published on

বন্যাত্রাণের টাকা গায়েব করার জন্য মামলা চলছে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি এখনও ধরা পড়েননি। তাঁর বিরুদ্ধে ৭৬ লক্ষ টাকা গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে। ওই প্রধানের নাম সোনামনি সাহা। এবার আদালত নির্দেশ দিল, অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রধানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার। পুলিশ এখন সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে। ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিধারের।

এর আগে একবার কুশিধা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধানকে ধরা যায়নি। তাঁকে ধরতে এরপর মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁর বাড়িতে নোটিশ ঝুলিয়ে দেন প্রধান। আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, সোনামণি এক মাসের মধ্যে ধরা না দিলে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। কিন্তু তারপরও তাঁর খোঁজ মেলেনি। বুধবার তাঁর বাড়ি থেকে ওয়াশিং মেশিন, টিভি, আলমারি-সহ আসবাবপত্র এবং মূল্যবান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজখবর শুরু হয়েছে।

২০১৭ সালে মালদহের এক মহকুমা-জুড়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। সরকার আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩৩০০ টাকা ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। বরুইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৭,৩৯৪ জন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, তালিকায় নাম থাকলেও তাঁরা টাকা পাননি। তদন্ত শুরু হলে জানা যায়, তালিকায় থাকা দুর্গতদের নামের পাশে অন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। সেই টাকা লুঠের অভিযোগ ওঠে ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, তদন্তে গড়িমসি হচ্ছে, অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। আদালত সক্রিয় হয়। মাস কয়েক আগে সোনামণির বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। সামনে আসে ত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা তছরুপের বিষয়টি।

অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান সোনামণি সাহা (ইনসেটে)
Ghatal: বন্যা দুর্গতদের হাহাকার দেখে দূর থেকে পালালেন নৌকো ভর্তি নেতা-মন্ত্রীরা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in