Amartya Sen: বড় জয় অমর্ত্য সেনের, বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিশ খারিজ আদালতে

People's Reporter: অমর্ত্য সেনের পক্ষ থেকে নোটিশ প্রত্যাহারেরই আবেদন জনানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দেয় সিউড়ি জেলা আদালত।
অমর্ত্য সেন
অমর্ত্য সেন গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

সিউড়ি আদালতে বড় জয় পেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সঙ্গে নিজের বাড়ির জমি সংক্রান্ত মামলায় রায় গেল অমর্ত্য সেনের পক্ষেই।

বুধবার সিউড়ি আদালতে অমর্ত্য সেনের জমি মামলার শুনানি ছিল। এদিন আদালত অর্থনীতিবিদকে দেওয়া বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিশ খারিজ করে দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উচ্ছেদ নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে।

অমর্ত্য সেনের পক্ষ থেকে নোটিশ প্রত্যাহারেরই আবেদন জনানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দেয় সিউড়ি জেলা আদালত। তাঁর আইনজীবী বলেন, আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে উচ্ছেদ নোটিশটি সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার কারণেই দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য এই কাজ করতে পারেন না। সবকিছু বিচার করেই আদালত রায় দেয়। তবে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।

প্রসঙ্গত, অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ নোটিশ পাঠিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিশের আইনি যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরাসরি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠিও লিখেছিলেন অমর্ত্য সেন। তারই জবাবে বিতর্কিত জমি ছাড়তে ফের নোটিশ দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই নোটিশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সিউড়ি জেলা আদালত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, ১৯৪৩ সালের ২৭ অক্টোবর আশুতোষ সেনকে (অমর্ত্য সেনের বাবা) বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের অন্তর্গত ১.২৫ একর জমি ইজারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে অমর্ত্য সেন ১.৩৮ একর জমি দখল করছেন। অর্থাৎ ১৩ ডেসিমেল জমি অতিরিক্ত দখল করছেন সেন। সেনের পাল্টা দাবি, ওই জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর থেকে লিজ নেওয়া, বাকি জমি তিনি কিনেছেন। এখন মিথ্যে কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।

অমর্ত্য সেন
Amartya Sen: স্বস্তিতে অমর্ত্য সেন, উচ্ছেদ নোটিশে স্থগিতাদেশ জেলা আদালতের
অমর্ত্য সেন
ন্যায় যাত্রা বাংলায় ঢুকতেই ভাঙা হল রাহুলের গাড়ির কাচ, ‘বুঝে নিন কে করেছেন?’ মন্তব্য অধীরের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in