দেশের প্রথম ‘পড়ুয়া উপাচার্য’ বাংলায়! রাজ্যপালের ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক

রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের ঘোষণায় সেই সংঘাত আরও বেড়েছে।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসফাইল ছবি

এবারে পড়ুয়াদের মধ্যে থেকেই নির্বাচিত হবেন উপাচার্য? রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের এই নিদান নিয়ে আবারও রাজ্য-রাজভবন সংঘাত চরমে পৌঁছল। এমনিতেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যপালের ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের ঘোষণায় সেই সংঘাত আরও বেড়েছে।

শুক্রবার কালিম্পং কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানান, “এবার রাজ্য একজন পড়ুয়া উপাচার্য বা স্টুডেন্ট ভাইস চ্যান্সেলর পেতে চলেছে। তিনি হয়ত এখন পড়াশোনা শেষ করে গবেষণা করছেন, কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই তিনি উপাচার্য নির্বাচিত হবেন। দেশের মধ্যে প্রথমবার এই ঘটনা ঘটবে এবং সেটা হবে এই রাজ্যেই।” কিন্তু পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে কে হবেন উপাচার্য? কীভাবে তিনি নির্বাচিত হবেণ?

রাজ্যপালের এই ঘোষণা করার পরেই রাজভবনের তরফে জানানো হয়, যে সব উজ্জ্বল পড়ুয়া স্নাতকোত্তর স্তরে খুব ভালো ফল করেছেন এবং বর্তমানেও পড়াশোনা করছেন বা গবেষণা করছেন, তাদের মধ্যে থেকেই কেউ অন্তর্বর্তী উপাচার্য নির্বাচিত হতে পারেন। রাজভবনের এই ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই নিয়ে জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নির্বাচন নিয়ে রাজ্যপাল ঠিক কী বলেছেন তা নিয়ে আমার কাছে সেরকম কোনও খবর নেই। কিন্তু উপাচার্যের নিয়োগ নিয়ে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (ইউজিসি)-এর নির্দিষ্ট কিছু নিয়মবিধি রয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, একজন উপাচার্যের অধ্যাপক পদে কমপক্ষে ১০ বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর যিনি অধ্যাপক পদে ১০ বছর থাকবেন, তাঁর মোট পড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে ২০ বছর।”

শুক্রবার কালিম্পং কলেজের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বাংলার শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত ও সমাজকে হিংসামুক্ত করার বার্তা দেন। এরপর তিনি উপাচার্যের বিষয় নিয়ে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সম্প্রতি উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি রাজ্যে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও হিংসামুক্ত সমাজও প্রয়োজন। তার জন্য তরুণ প্রজন্মকেই এগিয়ে আসতে হবে।”

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in