

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে করোনার জীবনদায়ী ওষুধ বলে পরিচিত টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন চুরির ঘটনায় শুক্রবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। গত মঙ্গলবার এই চুরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজরই এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের করেন জনৈক আইনজীবী তাপস মাইতি। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।
চুরির ঘটনায় ইতিমধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে আছেন মেডিক্যাল কলেজের এনাস্থেসিয়া, কার্ডিওথোরাসিক ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। তদন্ত কমিটির দায়িত্বে আছেন বিতর্কিত তৃণমূল নেতা নির্মল মাজি। ইঞ্জেকশন চুরির ঘটনায় রাজ্যের গঠিত তদন্ত কমিটির উপর ভরসা নেই সাধারণ মানুষের। রাজ্যের গঠিত কমিটির তদন্ত সঠিকভাবে হবে না। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ক্লিপে সেরকমটাই মনে হচ্ছে। ক্লিপের সত্যতা যাচাই না হলেও বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে।
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, রাজ্য সরকার যে কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির সদস্যদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নির্মল মাজির ভাবমূর্তি যে মোটেই ভালো নয়, সেটা সবাই জানেন। পাশাপাশি এই অতিমারিতে হাসপাতাল গুলিতে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, কোথায় কী ওষুধ কী পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা যাতে প্রকাশ করা হয়, তার জন্য লিখিত নির্দেশিকা জারি করুক রাজ্য। ৭জুন মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন